দিল্লির দ্বারকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। প্রাণ বাঁচাতে একজন পিতা এবং তার দুই সন্তান ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন। সবাই আহত, হাসপাতালে ভর্তি, ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে উপস্থিত।
Delhi Fire: দিল্লির দ্বারকা সেক্টর-১৩-এ মঙ্গলবার সকালে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, যখন একটি অ্যাপার্টমেন্টের ষষ্ঠ তলায় ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। সকাল প্রায় ১০টার দিকে এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের মতে, আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে পুরো বিল্ডিং আগুনে জ্বলে উঠে।
আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। একই সাথে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
সন্তানসহ পিতা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন
এই দুর্ঘটনার সবচেয়ে মর্মান্তিক দৃশ্য তখন সামনে আসে যখন জানা যায় যে এক ব্যক্তি তার দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে সপ্তম তলা থেকে লাফ দিয়ে আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, যখন ফ্ল্যাট থেকে বেরোনোর পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং চারিদিকে ধোঁয়া এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তখন ওই পরিবার প্রাণ বাঁচাতে এই ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়।
স্থানীয়রা দ্রুততার সাথে আহত পিতা এবং সন্তানদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পৌঁছে দেয়, যেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকদের মতে, তিনজনেরই অবস্থা স্থিতিশীল।
ফ্ল্যাটে এখনও লোক আটকা পড়ে থাকতে পারে
ফায়ার বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, কিন্তু ফ্ল্যাটে এখনও দুই থেকে তিনজন লোক আটকা পড়ে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধার এবং রক্ষাকার্য দ্রুত গতিতে চলছে এবং আটকে পড়া লোকদের নিরাপদে বের করে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
তদন্তে ব্যস্ত পুলিশ এবং ফায়ার বিভাগ
আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং পুলিশের যৌথ দল এই দুর্ঘটনার তদন্তে ব্যস্ত। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিটের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তবে কর্মকর্তারা কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে বিস্তারিত তদন্ত করছেন।
স্থানীয়রা ভীত, ইমারত থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
ঘটনার পর অ্যাপার্টমেন্ট এবং তার আশেপাশের এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আশেপাশের ইমারতগুলি খালি করা হয়েছে। পুলিশ জনগণকে ধৈর্য ধরার এবং গুজব থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। প্রশাসন জনগণকে আশ্বস্ত করেছে যে সব পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং ত্রাণ কাজে কোনো ঘাটতি রাখা হবে না।