দিল্লি বিধানসভায় বিতর্ক: আম্বেদকর ও ভগৎ সিংহের প্রতিকৃতি সরানো নিয়ে তীব্র বিক্ষোভ

🎧 Listen in Audio
0:00

শুক্রবার দিল্লি বিধানসভায় ব্যাপক হইচই সৃষ্টি হয় যখন আম আদমি পার্টি (আপ) নেত্রী অতীশি মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার কার্যালয় থেকে ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর ও ভগৎ সিংহের প্রতিকৃতি সরানোর বিষয়টি তুলে ধরেন।

নয়াদিল্লি: শুক্রবার দিল্লি বিধানসভায় উল্লেখযোগ্য আলোড়ন দেখা দেয় আম আদমি পার্টি (আপ) অভিযোগ করার পর যে, সংবিধান রচয়িতা ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর এবং বিপ্লবী ভগৎ সিংহের প্রতিকৃতি মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার কার্যালয় থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। पूर्व মুখ্যমন্ত্রী অতীশি এবং অন্যান্য আপ বিধায়করা এই বিষয়ে বিধানসভায় প্রতিবাদ प्रदर्शन করেন।

আপ-এর বিজেপিকে দলিতবিরোধী মানসিকতার অভিযোগ

বিরোধী দলনেতা অতীশি দাবি করেন যে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রতিটি দিল্লি সরকারি অফিসে আম্বেদকর ও ভগৎ সিংহের প্রতিকৃতি প্রদর্শিত ছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা সরিয়ে ফেলে। "দিল্লির নতুন বিজেপি সরকার বাবা সাবেবের ছবি সরিয়ে তার জায়গায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি রেখেছে। এটি দলিতবিরোধী মানসিকতার পরিচায়ক এবং লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের আবেগকে আঘাত করে।" আপ এও দাবি করেছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি রয়েছে।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্য: 'বাবা সাবেবের ছবি সরানো যাবে না'

দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ-এর আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এই বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানান। তিনি বলেন, "আপনি প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখতে পারেন, কিন্তু বাবা সাবেবের ছবি সরাবেন না। এতে লক্ষ লক্ষ বাবা সাবেবের অনুসারীর মনোভাব আঘাত পেয়েছে।" দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং বিজেপি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কোনও মহান নেতার প্রতি অসম্মানের উদ্দেশ্য ছিল না, এবং কেবলমাত্র কার্যালয় সংস্কার করা হয়েছে।

স্পীকার বিজেন্দ্র গুপ্তার মন্তব্য

স্পীকার বিজেন্দ্র গুপ্তা আপ বিধায়কদের প্রতিবাদকে অনুচিত বলে মনে করেছেন এবং বলেছেন, "এই সদন কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। প্রতিকৃতি পরিবর্তন বিরোধের বিষয় হওয়া উচিত নয়। অতীশির আচরণ অনুচিত ছিল এবং আমি এটিকে তীব্র নিন্দা করছি।" এই বিতর্ক আপ এবং বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্বকে আরও তীব্র করে তুলেছে। আপ এটিকে দলিতবিরোধী রাজনীতি হিসেবে তুলে ধরছে, অন্যদিকে বিজেপি এটিকে সরকারি দপ্তরের একটি মানসম্মত পদ্ধতি বলে দাবি করছে।

Leave a comment