আজ ১৩ অক্টোবর, দিল্লিতে পরিবেশ কর্মী সোনম ওয়াংচুক এবং আরও ২০ জন প্রতিবাদকারীকে লেহ ভবনের বাইরে থেকে আটক করা হয়েছে। এই প্রতিবাদকারীরা ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে লেহকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লেহ ভবনের বাইরে প্রতিবাদ করার অনুমতি তাদের ছিল না।
নয়া দিল্লি: রবিবার, লেহ ভবনের বাইরে প্রতিবাদ করার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াংচুকসহ আরও ২০ জন প্রতিবাদকারীকে আটক করেছে। অধিকর্তৃদের মতে, ওয়াংচুক এবং তার সাথে অনশনরত প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন প্রতিবাদকারীকে আটক করে মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিছু প্রতিবাদকারী বলেছেন যে, তারা প্রতিবাদ করছিল না, বরং শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিল। একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, প্রতিবাদকারীদের লেহ ভবনের বাইরে বসার অনুমতি নেই।
প্রধানমন্ত্রী সহ নেতাদের সাথে মিলনের দাবি
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "তারা জন্তর-মন্তরে প্রতিবাদ করার জন্য আবেদন করেছে। তাদের আবেদনের বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্য কোথাও প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।" আমরা কিছু ব্যক্তিকে আটক করেছি, যাদের শীঘ্রই মুক্তি দেওয়া হবে।
ওয়াংচুক, যিনি লেহকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে তাঁর সমর্থকদের সাথে লেহ থেকে দিল্লি এসেছেন, তাকে দিল্লি পুলিশ ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সিংহু সীমান্তে আটক করেছিল এবং ২ অক্টোবর রাতে মুক্তি দিয়েছিল। তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্যান্য প্রধান নেতাদের সাথে দেখা করার দাবি জানাচ্ছেন।
কী হল সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল?
সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য—অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের আদিবাসী অঞ্চলের প্রশাসনের জন্য বিশেষ বিধান রয়েছে। এর অধীনে স্বায়ত্তশাসিত পরিষদের প্রতিষ্ঠা করা হয়, যাদের এই অঞ্চলগুলির স্বাধীন শাসন পরিচালনার জন্য আইন প্রণয়ন, ন্যায়বিচার, নির্বাহী ও আর্থিক ক্ষমতা থাকে। প্রতিবাদকারীরা লেহকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া, সেখানে লোকসেবা কমিশন গঠন এবং লেহ ও কার্গিল জেলার জন্য পৃথক লোকসভা আসনের দাবিও করছে।
