ছত্তিশগড়ে নগরীয় নিকায় নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে, এবং এখন পর্যন্ত ফলাফলে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর অসাধারণ সাফল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অধিকাংশ নগর নিগমেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। রায়পুর নগর নিগমে ১৫ বছর পর বিজেপি বড় সাফল্য পেয়েছে, যেখানে মীনাল চৌবে মেয়র পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন ফলাফল: ছত্তিশগড়ে নগর নিগম, নগর নিকায় এবং নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি আবারও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। স্থানীয় নিকায় নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসকে বিধানসভা নির্বাচনের মতোই তীব্র পরাজয়ের মুখোমুখি করেছে, যা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে বিজেপি রাজ্যে নিজের দখল আরও শক্তিশালী করেছে। তবে, বিষ্ণুদেব সায়ের নগর পঞ্চায়েতে বিজেপিকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে, কিন্তু তা বাদ দিলে মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সায়ের নেতৃত্বে জনগণ আবারও বিজেপির উপর আস্থা প্রকাশ করেছে।
শনিবার সম্পন্ন ভোট গণনায় বিজেপি অধিকাংশ আসনে জয়ী হয়েছে, যা রাজ্যের রাজনীতিতে একটি বড় বার্তা দিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির এই সাফল্যের পেছনে মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সায়ের নেতৃত্বে সরকারের জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনা, সুশাসন এবং উন্নয়ন কাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস অভ্যন্তরীণ দলীয় সংঘাত এবং নেতৃত্বের সংকট থেকে উত্তরণে ব্যর্থ হয়েছে, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব নির্বাচনী ফলাফলে পড়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সায় রাজ্যের ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন
ছত্তিশগড় নিকায় নির্বাচনে বিজেপির বিরাট জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সায় রাজ্যের ভোটারদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, "বিজেপির কঠোর পরিশ্রমী কর্মীরা ডবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্য জন-জনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছে। সংগঠন দক্ষ কৌশলের মাধ্যমে নির্বাচনের সময় কাজ করেছে, এবং এই নির্ণায়ক জয় তারই ফলাফল। বিজেপি সরকারের কাজের ফলে মানুষের আস্থা বেড়েছে, এবং এখন আমাদের সরকার আরও উৎসাহের সাথে জন আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করবে।"
নিকায় নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে ছত্তিশগড়ের জনগণ বিজেপিকে কেবলমাত্র বিধানসভা পর্যায়ে নয়, স্থানীয় পর্যায়েও সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের অবস্থা ক্রমাগত দুর্বল হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির এই জয়ের পেছনে সংগঠনের শক্তিশালী কৌশল, সুশাসন এবং জনকল্যাণমূলক নীতি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল, যেখানে কংগ্রেস অভ্যন্তরীণ দলীয় সংঘাত এবং নেতৃত্ব সংকটে জর্জরিত ছিল, যার ফলে নির্বাচনী ফলাফলে তাদের ক্ষতি হয়েছে।