বিএসএফ-এর জওয়ানরা ভারতে বসবাসকারী এক বৃদ্ধার মৃত্যুর পর, সীমান্তপারে বাংলাদেশে বসবাসকারী তাঁর মেয়েদের অনুরোধে, তাঁর মায়ের শেষদর্শন করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বিএসএফ-এর এই উদ্যোগ দুই দেশের মানুষের মন জয় করেছে।
কলকাতা: বিএসএফ (সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী)-এর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে নিয়োজিত জওয়ানরা বাংলাদেশে বসবাসকারী দুই মেয়েকে ভারতে মৃত্যুবরণকারী তাদের বৃদ্ধা মাতা শাকিয়া বেয়ার শেষদর্শন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে জিরো লাইনের কাছাকাছি এই ব্যবস্থা করা হয়। জানা গেছে, বিএসএফ-এর এই উদ্যোগ মানবতার এক চমৎকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
Subkuz.com-এর খবর অনুযায়ী, সীমান্তপারে জনসংযোগ কর্মকর্তা ও ডিআইজি (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ) এ কুমার আর্য জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী গ্রাম মটিয়ারির পঞ্চায়েত সদস্য সোমবার সকালে সীমান্ত চৌকি বানপুরের কোম্পানি কমান্ডারকে জানান যে, তাঁদের গ্রামের বৃদ্ধা শাকিয়া বেয়া রাতে হঠাৎ মারা গেছেন। তাঁর দুই মেয়ে শাহীন বিবি ও সোফিয়া বিবি এবং তাঁদের আত্মীয়স্বজন সীমান্তপারে বাংলাদেশে বসবাস করেন।
বিএসএফ ও বিজিবি-এর জওয়ানরা উদ্যোগ নিয়েছেন
জানা গেছে, মেয়ে ও আত্মীয়স্বজন বিএসএফ কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা তাঁদের মায়ের শেষদর্শন করতে চান এবং বিএসএফ জওয়ানরা যদি উদ্যোগ নেন তাহলে এই কঠিন কাজ সহজ হবে। কোম্পানি কমান্ডার মানবতার দিক বিবেচনা করে এবং মানুষের অনুভূতিতে সাড়া দিয়ে অবিলম্বে তাঁদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন।
জানা গেছে, বিএসএফ (Border Security Force)-এর অনুরোধের পর বিজিবিও তাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনী মানবতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশে বসবাসকারী মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনদের জন্য সীমান্তের কাছে মায়ের শেষদর্শনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
সীমান্তে শোকের ছায়া নেমে আসে
জানা গেছে, শেষ বিদায়ের সময় সীমান্তে শোকের ছায়া নেমে আসে। শেষদর্শনের পর মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনরা বিএসএফ জওয়ানদের ধন্যবাদ জানিয়ে ‘জয় হিন্দ’ বলেছেন। বিএসএফ ডিআইজি এই উদ্যোগের জন্য সকল জওয়ানকে প্রশংসা করে বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী ভুল উদ্দেশ্যপোষণকারীদের বিরুদ্ধে, কিন্তু মানবতার কথা উঠলে সবসময় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকে।