ভারতীয় জনতা পার্টির মন্দির প্রকোষ্ঠের অনেক সদস্য সাধারণ মানুষের দলের সনাতন সেবা কমিটিতে যোগদান করেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মনিষ সিসোদিয়ার উপস্থিতিতে। এই খবর রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
দিল্লি নির্বাচন ২০২৫: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগে সাধারণ মানুষের দল (এএপি) ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)র মন্দির প্রকোষ্ঠে বড় ধরণের হস্তক্ষেপ করেছে। ৮ই জানুয়ারি, বুধবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপস্থিতিতে বিজেপির বেশ কিছু প্রধান নেতা সাধারণ মানুষের দলে যোগদান করেন। এই ঘটনা দিল্লির রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করেছে এবং এটিকে বিজেপির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
এএপির নতুন সংগঠন 'সনাতন সেবা কমিটি' ঘোষণা
বুধবার, সাধারণ মানুষের দল তাদের নতুন সংগঠন 'সনাতন সেবা কমিটি' ঘোষণা করে। এই সংগঠনটি বিশেষ করে সনাতন ধর্মের কাজে সক্রিয় থাকবে। বিজেপির মন্দির প্রকোষ্ঠের অনেক সদস্য সাধারণ মানুষের দলে যোগদান করায় বিজেপিকে আঘাত লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির মন্দির প্রকোষ্ঠের নেতারা এএপিতে যোগদান করেন
বিজেপির মন্দির প্রকোষ্ঠের যারা প্রধান সদস্যরা সাধারণ মানুষের দলে যোগদান করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন বিজয় শর্মা, জিতেন্দ্র শর্মা, ব্রজেশ শর্মা, মনিষ গুপ্তা, দুষ্যন্ত শর্মা এবং উদয়কান্ত জা। এই নেতাদের সাধারণ মানুষের দলে যোগদান একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা বিজেপির জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্য
এই সময়ে সাধারণ মানুষের দলের সংযোজক অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, "বিজেপির মন্দির প্রকোষ্ঠ শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু কোনও ठोस কাজ করেনি। যা কাজ করে, তা উপরের করেন। আপনার সরকার দিল্লিতে গঠিত হয়েছে, এবং এখন আমরা সনাতন ধর্মের জন্য বড় কাজ করছি। আমরা ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করব।"
পুরোহিতদের জন্য এএপির ঘোষণা
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার দিল্লিতে পুরোহিত এবং গ্রন্থিদের জন্য 'পুরোহিত-গ্রন্থি সম্মান পরিকল্পনা' ঘোষণা করেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, দিল্লির পুরোহিতদের প্রতি মাসে ১৮,০০০ টাকা দেওয়া হবে। এই পরিকল্পনার পর, দিল্লির পুরোহিতরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিজেপির জন্য একটি বড় ধাক্কা
সাধারণ মানুষের দল বিজেপির মন্দির প্রকোষ্ঠের সদস্যদের আকৃষ্ট করার মাধ্যমে বিজেপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পদক্ষেপটি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ দুটি প্রধান দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও তীব্র করার জন্য সাধারণ মানুষের দলের ধর্মীয় এবং সামাজিক পরিকল্পনাগুলি সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।