বিহারে সরকারি চিকিৎসকদের তিন দিনের ধর্মঘট (২৭ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ ২০২৫) রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে প্রভাবিত করেছে। রাজ্যের অনেক জেলায় ওপিডি সেবা বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে রোগীদের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
পাটনা: বিহার স্বাস্থ্য সেবা সংঘ (BHSA) তাদের দীর্ঘদিনের দাবি এবং বায়োমেট্রিক উপস্থিতির ভিত্তিতে বেতন বন্ধের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত তিন দিনের এই ধর্মঘটের ফলে রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির কারণে রোগীদের প্রচণ্ড সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং অনেক রোগী চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিহার স্বাস্থ্য সেবা সংঘ (BHSA)-এর আহ্বানে এই ধর্মঘট বায়োমেট্রিক উপস্থিতির ভিত্তিতে বেতন বন্ধ এবং অন্যান্য দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে করা হচ্ছে।
ধর্মঘটের পিছনে কারণ
রাজ্যের অনেক সরকারি হাসপাতালে ওপিডি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে সিভিল সার্জনের অধীনে হাসপাতালগুলিতে রোগীদের চিকিৎসা ছাড়াই ফিরে যেতে হচ্ছে। জরুরি সেবা চালু আছে, কিন্তু গুরুতর অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক করে তুলেছে। BHSA-এর মুখপাত্র ডাঃ বিনয় কুমার জানিয়েছেন যে সংঘ ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, অতিরিক্ত প্রধান সচিব, জেলাশাসক এবং সিভিল সার্জনদের এই ধর্মঘটের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে। সংগঠন সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি তাদের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া না দেওয়া হয়, তাহলে তারা তাদের আন্দোলন আরও তীব্র করবে।
চিকিৎসকদের প্রধান দাবি
বায়োমেট্রিক উপস্থিতির ভিত্তিতে বেতন বন্ধের পদ্ধতি বন্ধ করা হোক।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
চিকিৎসকদের জন্য সরকারি আবাসনের যথাযথ ব্যবস্থা করা হোক।
গৃহ জেলায় পোস্টিংয়ের নীতি প্রয়োগ করা হোক।
কর্মকাল এবং জরুরি সেবা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হোক।
গোপালগঞ্জ এবং বগাহা-তে ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব
গোপালগঞ্জ জেলার সদর হাসপাতালের ওপিডি সেবা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বায়োমেট্রিক উপস্থিতির প্রতিবাদে চিকিৎসকরা সেবা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। একইভাবে বগাহা-র আঞ্চলিক হাসপাতাল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও ওপিডি বন্ধ ছিল। গ্রামীণ এলাকা থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসা ছাড়াই ফিরে যেতে হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে চিকিৎসকদের দাবির বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকার শীঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবে। কর্মকর্তাদের মতে, জরুরি সেবা সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে।