বিহার নির্বাচন: চিরাগ পাসোয়ানের ২৪৩ আসনে লড়াইয়ের ঘোষণা, জেডিইউ-এর তীব্র প্রতিক্রিয়া

🎧 Listen in Audio
0:00

জেডিইউ-এর মুখপাত্র নীরজ কুমার চিরাগ পাসোয়ানের “২৪৩টি আসনে নির্বাচন লড়বো” বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি বলেছেন, এনডিএ-র মিত্রতা আস্থার উপর নির্ভর করে, আসন বণ্টন শীঘ্রই ঠিক হবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

বিহার নির্বাচন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং এলজেপি (রামবিলাস)-এর প্রধান চিরাগ পাসোয়ান বিহারের সব ২৪৩টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন লড়ার ঘোষণা করে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেছেন, তার মিত্রতা কেবল বিহারের জনগণের সাথেই। এর জবাবে জেডিইউ-এর মুখপাত্র নীরজ কুমার পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, মিত্রতা আস্থার উপর নির্ভর করে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদে নীতীশ কুমার ইতোমধ্যেই এনডিএ-র পক্ষ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-এর প্রধান এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান বিহারের রাজনীতিতে নতুন এক ঝড় তুলেছেন। আরায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, তার মিত্রতা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে নয়, সরাসরি বিহারের জনগণের সাথে। তিনি বলেছেন, “আমি বিহারের সব ২৪৩টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন লড়বো।”

নীরজ কুমারের তীব্র পাল্টা জবাব

চিরাগের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেডিইউ-এর জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেছেন, এলজেপি-রামবিলাস এনডিএ-র একটি অংশীদার দল এবং মিত্রতা কেবল বক্তব্যের উপর নির্ভর করে না, এটি আস্থা ও অংশীদারিত্বের উপর নির্ভর করে। নীরজ কুমার স্পষ্ট করে বলেছেন, “প্রতিটি দল তাদের প্রস্তুতি নেয়, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এনডিএ-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেয়। মিত্রতায় নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হবেন, এটা ইতোমধ্যেই ঠিক হয়ে গেছে।”

চিরাগের ‘বিহার ফার্স্ট, বিহারী ফার্স্ট’ এজেন্ডা কি?

তার বক্তব্যে চিরাগ পাসোয়ান আবারও তার প্রিয় স্লোগান ‘বিহার ফার্স্ট, বিহারী ফার্স্ট’ ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন যে, তার লক্ষ্য বিহারের যুবকদের রাজ্যের মধ্যেই উন্নত শিক্ষা ও কর্মসংস্থান দেওয়া যাতে তাদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন না হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তার এই চিন্তাধারাকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল — “পরিবার ও দল ভেঙে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমি নত হবো না, ভাঙবো না।”

এলজেপি-রামবিলাস ও জেডিইউ-এর মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে কি?

২০১৫ এবং ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা দেখে এখনই বলা কঠিন যে, চিরাগ পাসোয়ান এনডিএ থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু এটাও সত্য যে, ২০২০ সালে এলজেপি (তখনকার ইউনিফাইড পার্টি) জেডিইউ-এর বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে নীতীশ কুমারকে ব্যাপক ক্ষতি করেছিল। এখন ২০২৫-এর আগে চিরাগের ২৪৩টি আসনে নির্বাচন লড়ার ঘোষণা আবারও একই বিতর্ককে তীব্র করে তুলছে।

কি এটি আসন বণ্টনের চাপের কৌশল?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চিরাগ পাসোয়ানের এই বক্তব্য সরাসরি কোন মিত্রতা ভাঙার ইঙ্গিত দেয় না, বরং এটি আসন বণ্টনের আগে চাপ সৃষ্টির কৌশল হতে পারে। যদি এলজেপি-রামবিলাসকে প্রত্যাশার মতো আসন না দেওয়া হয়, তাহলে তারা স্বাধীনভাবে আরও বেশি আসনে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

Leave a comment