ভারতের সামরিক প্রস্তুতির ফলে পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে যে ভারত যেকোনো সময় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারে এবং পাকিস্তান প্রতিদিন ভয়ের ছায়ায় জীবনযাপন করছে।
India Pakistan tension war: সম্প্রতি পুলওয়ামায় সংঘটিত সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতে ক্ষোভ স্পষ্ট। দেশবাসী এবং সরকার উভয়েই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে, বাণিজ্য ও ডাক সেবা বন্ধ করে দিয়েছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কও কমিয়ে দিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলিকে বৃহৎ সামরিক অভিযানের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্টতই সেনাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন।
সংকেত স্পষ্ট: ভারতের ধৈর্য্যের সীমা শেষ
ভারতের সামরিক কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট সংকেত পাওয়া যাচ্ছে যে কার্যকরী পদক্ষেপের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। পাকিস্তানেও এই নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করছে। ভারতে পাকিস্তানের সাবেক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত বলেছেন যে রাশিয়ার বিজয় দিবস (৯ মে) এর পর ভারত ১০ বা ১১ মে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে না গিয়েও দেশের অগ্রাধিকার কী তা ইঙ্গিত করে দিয়েছেন।
মক ড্রিল এবং বিমানবাহিনীর প্রস্তুতি
৭ মে ভারতের ২৪৪ টি জেলায় মক ড্রিলের আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে সাধারণ নাগরিকদের যুদ্ধের মত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১৯৭১ সালের পর এটিই প্রথমবারের মতো এই ধরনের অনুশীলন। মক ড্রিলের ৪ দিন পর ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিল, তাই এখনও এটিকে একটি বড় ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বিমানবাহিনীর যুদ্ধ অনুশীলন
ভারতীয় বিমানবাহিনী সম্প্রতি গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ধাপে একটি বিশেষ সামরিক অনুশীলন করেছে, যেখানে রাতে অবতরণ, উড্ডয়ন এবং নিম্ন উচ্চতায় ফ্লাই-পাস্ট যুদ্ধ কৌশলের অনুশীলন করা হয়েছে। এই অনুশীলন সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানকে সতর্ক করার ইঙ্গিত ছিল।