ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে, এবং পাকিস্তান দ্বিতীয় দিনেও ভারতের শহরগুলিতে আক্রমণের চেষ্টা করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেনাপ্রধান এবং CDS-এর সাথে বৈঠক করেছেন, অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সেনা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
MEA প্রেস ব্রিফিং: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুদিন ধরে পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি শহরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন আক্রমণের চেষ্টা করেছে। এই আক্রমণগুলির উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। কিন্তু ভারতীয় সেনা সম্পূর্ণ সাহস এবং প্রস্তুতি নিয়ে সকল আক্রমণকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।
শনিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তিনটি সেনাপ্রধান এবং CDS-এর সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন, যেখানে সম্পূর্ণ পরিস্থিতির গভীর বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর পরে সেনা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে পাকিস্তান কর্তৃক ছড়ানো মিথ্যাচার উন্মোচন করেছে।
সেনা ভিডিও প্রকাশ করেছে উত্তর স্বরূপ
সংবাদ সম্মেলনের সময় সেনা একটি ভিডিও প্রমাণ প্রকাশ করেছে, যেখানে স্পষ্ট দেখানো হয়েছে যে পাকিস্তানের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনও ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে কোনও ক্ষতি হয়নি।
সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে পাকিস্তান ২৬ বারের বেশি ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। জম্মু, শ্রীনগর, পাঠানকোট, পোখরন ইত্যাদি সংবেদনশীল এলাকায় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছে, যা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ করে দিয়েছে।
कर्नल সোফিয়া কুরেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন
সেনার মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানিয়েছেন যে পাকিস্তান দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে দেওয়া।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে পাকিস্তান রাত ১:৪০ টায় পাঞ্জাবের একটি বিমান ঘাঁটিকে উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্য করার চেষ্টা করেছে। এছাড়াও, তারা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এবং স্কুলগুলির মতো অ-সামরিক লক্ষ্যস্থলেও আক্রমণ করেছে - যা সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধের নিয়মের লঙ্ঘন।
৩২ টি বিমানবন্দর ১৪ মে পর্যন্ত বন্ধ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
ভারত সতর্কতা হিসেবে ১৪ মে পর্যন্ত ৩২ টি বিমানবন্দর অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপটি নাগরিকদের নিরাপত্তাকে মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রতিটি পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য সেনা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
পাকিস্তানকে তারই ভাষায় উত্তর
সেনা এবং MEA সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে বলেছে যে ভারত শান্তি চায়, কিন্তু যদি কোনও দেশ উস্কানিমূলক কাজ করে তাহলে তাকে যথাযথ উত্তর দেওয়া হবে। পাকিস্তান কেবলমাত্র সামরিক ঘাঁটিতেই আক্রমণ করেনি, বরং মিথ্যা সংবাদ এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।