ভারতে ট্রাক ও ভারী যানবাহনের জন্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন রেটিং চালু

🎧 Listen in Audio
0:00

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছেন যে, সরকার ট্রাক এবং ভারী যানবাহনের জন্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন রেটিং চালু করবে, যা ভারত এনসিএপি (Bharat NCAP)-এর ধরণের হবে। এর উদ্দেশ্য হলো উৎপাদনকারীদের তাদের পণ্যের গুণমান উন্নত করার জন্য উৎসাহিত করা।

নয়াদিল্লি: ভারতে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সরকার ক্রমাগত নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, শীঘ্রই ট্রাক এবং ভারী যানবাহনের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা মূল্যায়ন রেটিং সিস্টেম চালু করা হবে। এই রেটিং ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম (BNCAP)-এর মতো হবে এবং এর উদ্দেশ্য হলো যাতে কোম্পানিগুলি তাদের যানবাহন আরও নিরাপদ করে তোলে।

ভারতে সড়ক নিরাপত্তার অবস্থা

ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এই বিষয়টি তুলে ধরে জানিয়েছেন যে, প্রতি বছর প্রায় ৪.৮ লক্ষ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে ১.৮ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। এই পরিসংখ্যানগুলি সড়ক নিরাপত্তার গুরুতর অবস্থা প্রকাশ করে। সড়ক দুর্ঘটনার বৃদ্ধি সরকারকে বাধ্য করেছে যাতে সড়ক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এর সমাধানের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গড়করি আরও জানিয়েছেন যে, সরকার সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে শুধুমাত্র মহাসড়কের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে না, বরং যানবাহনের নিরাপত্তা মান উন্নত করার উপরও জোর দিচ্ছে।

সড়ক নিরাপত্তার জন্য সরকারের পদক্ষেপ

নীতিন গড়করির নেতৃত্বে, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সড়ক নিরাপত্তার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনার উপর কাজ করছে। সরকার ইতিমধ্যেই ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম (BNCAP) চালু করেছে, যা যানবাহনের নিরাপত্তা নিয়ে একটি মান স্থাপন করে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো ভারতীয় বাজারে বিক্রি হওয়া যানবাহনের নিরাপত্তা মান উন্নত করা, যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে এবং মানুষের প্রাণ রক্ষা করা যায়। একই ধরণে, এখন ট্রাক এবং ভারী যানবাহনের জন্যও নিরাপত্তা রেটিং সিস্টেম চালু করা হচ্ছে, যাতে যানবাহনের নির্মাতারা তাদের যানবাহনের নিরাপত্তা নিয়ে আরও সচেতন হতে উৎসাহিত হয়।

ই-রিকশার জন্য নতুন নিরাপত্তা নিয়ম

গড়করি আরও জানিয়েছেন যে, সরকার ই-রিকশার জন্যও নতুন নিরাপত্তা নিয়ম তৈরি করছে। ভারতে ই-রিকশার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু এতে নিরাপত্তার অভাব একটি বড় সমস্যা। অনেক সময় ই-রিকশায় আগুন লাগার বা অন্যান্য দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে মানুষের প্রাণ বিপন্ন হয়েছে। গড়করি জানিয়েছেন যে, সরকার এখন এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে এবং শীঘ্রই ই-রিকশার জন্য নিরাপত্তা মান প্রয়োগ করবে। এতে শুধুমাত্র ই-রিকশার গুণমান উন্নত হবে না, বরং এটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করবে।

লজিস্টিক খরচ কমাতে জোর

গড়করি আরও জানিয়েছেন যে, সরকার লজিস্টিক খরচ কমাতে কাজ করছে। বর্তমানে, ভারতে লজিস্টিক খরচ প্রায় ১৪-১৬ শতাংশ, যা অনেক বেশি। সরকারের লক্ষ্য পরবর্তী কয়েক বছরে এটি কমিয়ে ৯ শতাংশে নিয়ে আসা। এতে মাল পরিবহন সস্তা হবে এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। লজিস্টিক খরচ কমলে, ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনে কম খরচ হবে, যার ফলে তাদের খরচও কমবে।

ট্রাক চালকদের কাজের সময় নিয়ন্ত্রণ

গড়করি আরও জানিয়েছেন যে, সরকার ট্রাক চালকদের কাজের সময় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি নতুন আইন তৈরি করছে। বর্তমানে, ট্রাক চালকরা প্রতিদিন ১৩-১৪ ঘন্টা গাড়ি চালায়, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এতে সড়কে ক্লান্তি এবং অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়। নতুন আইনের আওতায়, চালকদের কাজের সময় নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যাতে তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে।

ভারতের সড়ক পরিবহনের দিকে এই পদক্ষেপগুলি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ভারতে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে নেওয়া এই পদক্ষেপগুলির ফলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসতে পারে। নিরাপত্তা রেটিং সিস্টেম এবং ই-রিকশার জন্য নতুন নিরাপত্তা নিয়ম, এই পদক্ষেপগুলি সড়ক নিরাপত্তায় উন্নতি সাধন করবে। এছাড়াও, লজিস্টিক খরচ কমে এবং ট্রাক চালকদের কাজের সময় নিয়ন্ত্রণ, এই সব ভারতের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও নিরাপদ এবং কার্যকর করে তুলতে পারে।

যদি আপনি একটি চমৎকার ইলেকট্রিক স্কুটারের সন্ধানে থাকেন, তাহলে রিভার ইন্ডি আপনার জন্য একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। এর দীর্ঘ রেঞ্জ, আকর্ষণীয় নকশা এবং চমৎকার পারফরম্যান্স এটিকে একটি আদর্শ স্কুটার করে তুলেছে। আপনি এটি আপনার নিকটবর্তী স্টোর থেকে চেক করতে পারেন অথবা রিভারের ওয়েবসাইটে গিয়ে আরও তথ্য পেতে পারেন।

Leave a comment