আমেরিকার ট্যারিফ নীতি: সংসদে বিরোধীদের তীব্র প্রতিরোধের প্রস্তুতি

🎧 Listen in Audio
0:00

আজ সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ধাপের শুরুতেই বিরোধী দলগুলি আমেরিকার ট্যারিফ নীতি সম্পর্কে সরকারের অবস্থান নিয়ে সরকারকে ঘেরাও করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নয়াদিল্লি: সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বিরোধী দলগুলি আমেরিকার ট্যারিফ নীতি সম্পর্কে সরকারের অবস্থান নিয়ে সরকারকে ঘেরাও করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কংগ্রেসসহ বহু বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সংসদে স্পষ্টীকরণ চাওয়ার পরিকল্পনা করছে যে, ভারত কি আমেরিকার ট্যারিফ কমানোর শর্তাবলী গ্রহণ করেছে কিনা।

আমেরিকার বক্তব্য নিয়ে হইচই, সরকারের কাছে স্পষ্টতা চাওয়া

এই বিতর্ক তখন শুরু হয় যখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে দাবি করেন যে ভারত ট্যারিফ কমানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। বিশেষ করে, এই বিবৃতি তখন আসে যখন ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বাণিজ্য আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে ছিলেন। কংগ্রেস এ ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যে, কি ভারত সরকার কোন ‘গুপ্ত চুক্তি’তে স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে দেশের কৃষক ও উৎপাদনশীল শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে?

বিরোধীদের কৌশল

সংসদে এই বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরার জন্য কংগ্রেস এবং ডিএমকে সহ তামিলনাড়ুর বিরোধী দলগুলি যৌথ কৌশল তৈরি করছে। বিরোধীদের দাবি, মোদী সরকারকে স্পষ্ট করে দিতে হবে যে তারা আমেরিকার সাথে কী শর্তে চুক্তি করেছে এবং এর ভারতের অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে।এছাড়াও, বিরোধী দল দক্ষিণ ভারতের লোকসভা কেন্দ্রগুলির পুনর্নির্ধারণ এবং স্কুল শিক্ষায় নতুন ভাষা নীতিরও তীব্র বিরোধিতা করার পরিকল্পনা করছে। ডিএমকে এবং কংগ্রেসের সহযোগী দলগুলি এই বিষয়টি সংসদে জোরালোভাবে তুলে ধরবে।

পীযূষ গোয়েলের আমেরিকা সফরের সময় সম্মতি?

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, "কি মোদী সরকার ভারতীয় কৃষক ও উৎপাদনশীল ক্ষেত্রের বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে? যদি তাই হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে ১০ই মার্চ সংসদে নিজেই এর উত্তর দিতে হবে।" সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, তবে সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী বা বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সংসদে এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ দিতে পারেন।

এই অধিবেশনের সময় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে তীব্র বিতর্কের সম্ভাবনা রয়েছে। কংগ্রেস এই বিষয়টিকে কৃষক, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগণের সাথে জড়িয়ে একটি বড় রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন দেখার বিষয় হল সরকার এ ব্যাপারে কী অবস্থান নেয় এবং বিরোধীদের দাবির কোন স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায় কিনা।

Leave a comment