আলিগড়ে সাংসদ রামজীলাল সুমনের কাফিলে কর্ণি সেনার হামলা

🎧 Listen in Audio
0:00

আলিগড়ে সাংসদ রামজীলাল সুমনের কাফিলে কর্ণি সেনার হামলা, দুর্ঘটনা ঘটে গাড়িতে টায়ার ছোঁড়া হলে। সাংসদকে আগ্রায় পাঠানো হয়েছে নিরাপত্তার সাথে।

আলিগড়, উত্তর প্রদেশ: রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিতর্কের মধ্যে, সমাজবাদী পার্টি (সপা) -র রাজ্যসভা সাংসদ রামজীলাল সুমনের কাফিলে আলিগড়ে হামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গভাণা টোল প্লাজার কাছে, যেখানে কর্ণি সেনা ও ক্ষত্রীয় মহাসভার বহু কর্মী জড়ো হয়েছিল।

হামলা ও গাড়ির সংঘর্ষ

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কর্ণি সেনার কর্মীরা সাংসদ রামজীলাল সুমনের কাফিলের গাড়িতে টায়ার ছুড়ে মারে। টায়ার ছোড়ার ফলে কাফিলের গাড়িগুলি একে অপরের সাথে ধাক্কা লাগে, যার ফলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই হামলার পর আলিগড় পুলিশ সাংসদকে নিরাপত্তার সাথে আগ্রার উদ্দেশ্যে রওনা করে এবং তাঁকে আলিগড় সীমানা থেকে বের করে হাতরস সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

সপা সাংসদের বক্তব্য

হামলার পর রামজীলাল সুমন মিডিয়ার সাথে কথা বলে বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। পুলিশ প্রশাসন আমাদের থামিয়ে দিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশে দলিতদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে বুলন্দশহরে ছয়টি দলিত নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। আমরা এখন বন্যার মতো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে কিশোরী দলিত মেয়েদের সাথে ধর্ষণ হচ্ছে এবং বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের প্রতিকৃতি পর্যন্ত ভাঙা হচ্ছে।”

রাণা সাঙ্গা বিতর্ক ও কর্ণি সেনার প্রতিবাদ

এই হামলাটি তখন ঘটে যখন রামজীলাল সুমন রাজ্যসভায় রাণা সাঙ্গা সম্পর্কে একটি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছিলেন। এর পর কর্ণি সেনা ও অন্যান্য সংগঠন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল। কর্ণি সেনা শুধুমাত্র আলিগড়ে তাঁর কাফিলে হামলাই করেনি, বরং আগ্রায় অবস্থিত সাংসদের বাসভবনেও ভাঙচুর করেছে।

রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত

এই ঘটনার পর রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যেখানে সপা সাংসদের কাফিলে হামলা হয়েছে, সেখানে বিরোধী দল এই হামলার সাথে সরকারের ব্যর্থতা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সাথে যুক্ত করে দেখছে। অন্যদিকে, সপা এই হামলাকে গণতন্ত্রের উপর হামলা এবং বিরোধী শক্তির কাজ বলে অভিহিত করেছে।

Leave a comment