মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডা-মেক্সিকোতে ২৫% ট্যারিফ আরোপ করেছে, প্রতিক্রিয়ায় কানাডা মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। চীনের উপরও আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ, বৈশ্বিক বাণিজ্যিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ যুদ্ধ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার, ৪ মার্চ থেকে মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ২৫% ট্যারিফ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পর বৈশ্বিক বাণিজ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় কানাডা এবং মেক্সিকোও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর ব্যাপক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
কানাডা মার্কিন পণ্যের উপর ২৫% ট্যারিফ আরোপ করেছে
কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের উপর ২৫% ট্যারিফ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শুল্ক দুটি পর্যায়ে কার্যকর করা হবে। প্রথম পর্যায়ে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ১২টার পর ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের উপর ট্যারিফ আরোপ করা হবে, এবং বাকি শুল্ক পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন যে, এই ট্যারিফ বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকারক হবে। তিনি বলেছেন, "মার্কিন সরকারের এই সিদ্ধান্তের কোনও যৌক্তিকতা নেই। এর প্রভাব সরাসরি মার্কিন নাগরিকদের উপর পড়বে, যার ফলে গ্যাস, খাদ্যসামগ্রী এবং গাড়ির দাম বেড়ে যাবে।"
মেক্সিকোও কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লৌডিয়া শেইনবাম সোমবার (৩ মার্চ) এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন যে, মেক্সিকো সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে। তিনি বলেছেন, "আমরা ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছি, কিন্তু আমরা আমাদের কৌশল তৈরি করেছি। যতটা প্রয়োজন, ততটাই পদক্ষেপ নেব।"
মেক্সিকো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উদ্বেগগুলি দূর করার জন্য সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এর অধীনে ১০,০০০ জাতীয় সেনাকে সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক পাচার রোধ করার জন্য।
চীনের উপরও চাপ বেড়েছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপরও কর দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন। আগে যেখানে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ১০% ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছিল, এখন তা বৃদ্ধি করে ২০% করা হয়েছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আবার তীব্র হতে পারে।
