অপারেশন সিন্দুরের প্রতিউত্তরে প্রতিরক্ষা বাজেটে ৫০,০০০ কোটি টাকার বৃদ্ধি

🎧 Listen in Audio
0:00

অপারেশন সিন্দুরের প্রতিউত্তরে ভারত সীমান্ত অতিক্রম না করেই অত্যন্ত নিখুঁত ও কার্যকরী অভিযান চালিয়েছে, যাতে সম্পূর্ণ স্বদেশী প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে, সরকার এখন প্রতিরক্ষা বাজেটে ৫০,০০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করার বিষয়ে বিবেচনা করছে। এই পদক্ষেপ দেশের সামরিক আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

অপারেশন সিন্দুরের পর ভারত সরকার প্রতিরক্ষা বাজেটে ৫০,০০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করার বিষয়ে বিবেচনা করছে। এই অতিরিক্ত অর্থ পরিপূরক বাজেটের মাধ্যমে বরাদ্দ করা হবে, যার ফলে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মোট প্রতিরক্ষা বাজেট ৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হবে। ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫-এ উপস্থাপিত কেন্দ্রীয় বাজেটে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা বাজেট ধার্য করেছিলেন, যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের ৬.২২ লক্ষ কোটি টাকার তুলনায় প্রায় ৯.২% বেশি।

সংসদে প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধির প্রস্তাব উপস্থাপিত হবে

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি সরকার প্রতিরক্ষা বাজেটে অতিরিক্ত ৫০,০০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে, তাহলে এই অর্থ প্রতিরক্ষা খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য ব্যয় করা হবে। এই অতিরিক্ত তহবিল অনুমোদনের জন্য সরকার শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে প্রস্তাব নিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ২০১৪ সাল থেকে প্রতিরক্ষা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট ছিল ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকা, যা এখন তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীদের দেওয়া হয়েছে নিখুঁত জবাব

২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহলগামে, লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসী শাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) ২৬ জন পর্যটককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। এই ঘটনার পর ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি বৃহৎ সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানের বিশেষত্ব ছিল ভারত LOC (লাইন অফ কন্ট্রোল) বা আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম না করেই সন্ত্রাসবাদীদের একটি কৌশলগত ও প্রযুক্তি-নির্ভর নিখুঁত জবাব দিয়েছে।

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র শক্তির প্রদর্শন

এই অভিযানে ভারত সম্পূর্ণ স্বদেশী প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে ড্রোন যুদ্ধ ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং বহু-স্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত। সরকার এটিকে দেশের সামরিক আত্মনির্ভরশীলতার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করেছে। অভিযানের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, অন্যান্য দেশ থেকে অস্ত্র কেনা নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে আস্থা হারানোর সমান, যা স্থায়ী সমাধান নয়। তিনি স্বদেশী প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে এটিকে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা কৌশল বলে উল্লেখ করেছেন।

Leave a comment