২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের রপ্তানি: ১ ট্রিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা

🎧 Listen in Audio
0:00

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারত রপ্তানি ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন (FIEO)-এর মতে, চলতি বছরে দেশের মোট রপ্তানি ২১% বৃদ্ধি পেয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। গত অর্থবর্ষে এই সংখ্যা ছিল ৮২৪.৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ৭৭৮.১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৬.০১% বেশি।

এই অগ্রগতিতে সেবা খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আইটি, ব্যবসা, আর্থিক সেবা এবং পর্যটন সেবার মজবুত প্রদর্শনের ফলে সেবা রপ্তানি ১৩.৬% বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮৭.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, বাণিজ্যিক পণ্যের রপ্তানি ৪৩৭.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যার মধ্যে অ-পেট্রোলিয়াম পণ্যের রপ্তানি ৩৭৪.১ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৬% বেশি।

চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় ভারত এখনও দুর্বল

ভারতের রপ্তানি ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি সত্ত্বেও, বিশ্ববাজারে ভারতের অবস্থান এখনও দুর্বল। গত বছর চীনের রপ্তানি প্রায় ৩.৫১ ট্রিলিয়ন ডলার ছিল, যা ভারতের তুলনায় অনেক গুণ বেশি। আমেরিকার মোট রপ্তানি ছিল ৩.০৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং জার্মানির ২.১০ ট্রিলিয়ন ডলার।

FIEO-এর সভাপতি এস.সি. রলহান বলেছেন যে ভারতকে তার রপ্তানি নীতিতে বৈচিত্র্য আনার প্রয়োজন। উদীয়মান বাজারে বিস্তার এবং বিদ্যমান অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। তদুপরি, কাঁচামালের পরিবর্তে মূল্যবর্ধিত পণ্যের উপর জোর দেওয়া ভারতের রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

নতুন বাজার এবং FTA-র উপর নজর, লজিস্টিক্স উন্নয়নও প্রয়োজন

ভারত সম্প্রতি ব্রিটেনের সাথে বাণিজ্য চুক্তিকে শক্তিশালী করেছে এবং আমেরিকার সাথে প্রাথমিক চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে FTA-র মতো চুক্তি ভারতের রপ্তানিকারকদের নতুন বাজারে সহজ প্রবেশাধিকার দিতে পারে। এছাড়াও, উন্নত অবকাঠামো, লজিস্টিক্স ব্যয় হ্রাস এবং আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পণ্য তৈরির উপর ধ্যান দেওয়া ভারতকে বিশ্ববাজারে আগে বাড়তে সাহায্য করতে পারে।

Leave a comment