সংযুক্ত জাতি সংস্থার প্রতিবেদনের মতে, ২০২৫ সালে ভারতের জিডিপি ৬.৬% বৃদ্ধি পাবে। এই বৃদ্ধিটি ব্যক্তিগত ব্যয়, বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে আসবে। কৃষি উৎপাদন এবং অনুকূল মূল্যস্ফীতিও অর্থনৈতিক উন্নতিতে সাহায্য করবে।
জিডিপি: সংযুক্ত জাতি সংস্থার '২০২৫ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থা ও সম্ভাবনা' প্রতিবেদনের মতে, ২০২৫ সালে ভারতের অর্থনীতি ৬.৬% বৃদ্ধি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই বৃদ্ধির পিছনে শক্তিশালী ব্যক্তিগত ব্যয়, বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন রয়েছে। ২০২৪ সালে ৬.৮% বৃদ্ধির প্রাক্কলনের আলোকে, ২০২৫ সালেও অনুরূপ বৃদ্ধি পাওয়া যাবে, কিন্তু ২০২৬ সালে অর্থনীতি আবার ৬.৮% বৃদ্ধির পথে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ২০২৫ সালে ৫.৭% এবং ২০২৬ সালে ৬.০% হবে। এটি ভারতের শক্তিশালী কর্মক্ষমতা এবং নেপাল, ভুটান এবং শ্রীলঙ্কা সহ অন্যান্য অর্থনীতির উন্নতির ফলে সম্ভব হবে।
অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সহায়তা পাওয়া যাবে
ভারতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সরকারি খাতে বৃহৎ বিনিয়োগ অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে। সামাজিক অবকাঠামো, ডিজিটাল সংযোগ, এবং স্যানিটেশন এবং পানি সরবরাহ প্রকল্পে বিনিয়োগ অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে।
কৃষি ও মৌসুমের প্রভাব
২০২৪ সালে অনুকূল বর্ষার ফলে ২০২৫ সালে কৃষি উৎপাদনে বৃদ্ধি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। প্রধান ফসলের চাষাবাদে উন্নতির ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
বিনিয়োগ ও মূল্যস্ফীতি
২০২৫ সালে বিনিয়োগে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের অনুমানিত ৪.৮% থেকে কমে ২০২৫ সালে ৪.৩% এ নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ২ থেকে ৬% লক্ষ্য সীমার মধ্যে থাকবে।
রोजगार এবং লিঙ্গভেদ
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ পর্যন্ত ভারতে কর্মসংস্থান সূচক শক্তিশালী রয়েছে। শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ৬.৬% এ স্থির রয়েছে, এবং মহিলা শ্রমিক শক্তির অংশগ্রহণে উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে, লিঙ্গভেদ এখনও বিদ্যমান।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
২০২৪ সালে দক্ষিণ এশিয়া জলবায়ু সংক্রান্ত প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছে। ঝড়, খরা এবং অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের ফলে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার ফসলের উৎপাদনে হ্রাস দেখা গেছে। এর ফলে দরিদ্র গ্রামীণ পরিবারের উপর অসম প্রভাব পড়েছে এবং আয়ের ব্যবধান বাড়েছে।
```