হিনা খানের পাকিস্তানি ভক্তদের হুমকির কঠোর জবাব: ‘আমি সর্বপ্রথম ভারতীয়’

🎧 Listen in Audio
0:00

ভারত-পাক তর্কের মধ্যে হিনা খান পাকিস্তানি ভক্তদের হুমকির প্রতি কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে তাঁকে অনফলো করা বা গালি দেওয়া কোনও পার্থক্য করে না।

টিভি ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান সম্প্রতি তাঁর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে হিনা 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সমর্থন করেছিলেন, যার পরে তাঁকে পাকিস্তানের কিছু ভক্তের কাছ থেকে গালি, হুমকি এবং অশালীন মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়। এর জবাবে হিনা খান চুপ করে না থেকে স্পষ্ট ও কড়া জবাব দিয়েছেন, যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটে উঠল হিনার রোষ

টিভি অভিনেত্রী হিনা খান সম্প্রতি তাঁর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করে তাঁকে ট্রোল করা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে জবাব দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে যখন থেকে তিনি 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সমর্থন করেছেন, তখন থেকেই কিছু পাকিস্তানি ভক্ত তাঁকে গালি দিচ্ছেন, হুমকি পাঠাচ্ছেন এবং তাঁকে অনফলো করার হুমকিও দিচ্ছেন। হিনা তাঁর পোস্টে স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি একজন শিল্পী এবং সবসময় সীমান্ত পেরিয়ে থাকা মানুষদের প্রতিও ভালোবাসা এবং সম্মান বজায় রেখেছেন, কিন্তু নিজের দেশের সমর্থন করা তাঁর অধিকার এবং এর জন্য তিনি কারো কাছে ক্ষমা চাইবেন না।

হিনা খান তাঁর ট্রোলারদের কড়া জবাব দিয়ে বলেছেন যে দেশপ্রেম প্রদর্শন করা ভুল নয় এবং তিনি কখনোই তাঁর কথার পিছনে ফিরে যাবেন না। তিনি লিখেছেন যে তিনি তাঁর দেশ ভারতের সাথে ছিলেন, আছেন এবং সবসময় থাকবেন। হিনার এই বক্তব্য তাদের জন্য একটা কড়া বার্তা যারা শিল্পীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরও বলেছেন যে অনফলো করার হুমকিতে তাঁর কোনও পার্থক্য করে না কারণ তিনি সর্বপ্রথম একজন ভারতীয়।

হুমকি এবং অশালীন মন্তব্যে দুঃখিত হিনা

টিভি অভিনেত্রী হিনা খান সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সমর্থন করার জন্য তিনি হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন। তিনি তাঁর পোস্টে বলেছেন যে অনেকে তাঁকে গালি দিচ্ছেন, তাঁর ধর্ম, অসুস্থতা এবং পরিবার নিয়ে অশালীন এবং অপমানজনক কথা বলছেন। হিনা এই ধরণের ভাষাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে এসব শুনে তিনি বেশ দুঃখিত হয়েছেন।

হিনা খান আরও বলেছেন যে তিনি কারো কাছ থেকে এটা আশা করেন না যে তারা ভারতের সমর্থন করবে, কিন্তু মানবিকতা অবশ্যই দেখাবে। তিনি লিখেছেন যে তিনি সবসময় সীমান্ত পেরিয়ে থাকা মানুষদের সম্মান করেছেন, কিন্তু এখন যে ধরণের আচরণ দেখা যাচ্ছে তা অত্যন্ত হতাশাজনক। হিনা আরও বলেছেন যে তিনি সর্বপ্রথম একজন ভারতীয় এবং নিজের দেশের সমর্থন করা তাঁর অধিকার।

'আমি সর্বপ্রথম ভারতীয়' – হিনা খানের দৃঢ় বক্তব্য

টিভি অভিনেত্রী হিনা খান সম্প্রতি একটি দৃঢ় বক্তব্য দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তিনি 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সমর্থন করেছিলেন, যার জন্য তিনি পাকিস্তান থেকে হুমকি এবং গালির সম্মুখীন হয়েছেন। এর জবাবে হিনা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে এতে তাঁর কোনও পার্থক্য করে না। তিনি লিখেছেন, “যদি আমি ভারতীয় না হই তাহলে কিছুই নই। আমি সর্বপ্রথম একজন ভারতীয় এবং সবসময় থাকব।” তাঁর বক্তব্য, তিনি শুধুমাত্র তাঁর দেশের সমর্থন করেছেন, কারো অপমান করেননি।

হিনা খানের এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। মানুষ তাঁর সাহস এবং স্পষ্টতার প্রশংসা করেছেন। অনেক ইউজার্স বলেছেন যে হিনা যে আত্মবিশ্বাসের সাথে জবাব দিয়েছেন তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি আরও বলেছেন যে একজন শিল্পী হিসেবে তিনি প্রতিটি দেশের মানুষের সম্মান করেন, কিন্তু দেশের স্বার্থের বিষয়ে সবসময় ভারতের পাশে দাঁড়াবেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের পূর্ণ সমর্থন

টিভি অভিনেত্রী হিনা খান সম্প্রতি 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সমর্থন করার জন্য পাকিস্তান থেকে পাওয়া হুমকি এবং গালির জবাব দৃঢ়ভাবে দিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি সর্বপ্রথম ভারতীয় এবং তাঁর দেশের সমর্থন করা তাঁর গর্ব। হিনা বলেছেন যে মানুষ তাঁকে গালি দিক বা অনফলো করুক না কেন, তাতে তাঁর কোনও পার্থক্য করে না কারণ তিনি কারো অপমান করেননি, শুধুমাত্র তাঁর দেশের সাথে থেকেছেন। তাঁর এই বক্তব্যের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা হচ্ছে এবং মানুষ তাঁর সাহসের প্রশংসা করছেন।

কি 'অপারেশন সিন্দুর'?

হিনা খানের পোস্টের পর ভারতীয় ভক্তরা তাঁকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় #WeStandWithHina ট্রেন্ড করতে শুরু করেছে এবং মানুষ তাঁর সাহস এবং দেশপ্রেমের প্রশংসা করেছেন। অনেক ইউজার্স বলেছেন যে হিনা যে স্পষ্টতা এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে জবাব দিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য। হিনা আগেও অনেকবার সামাজিক বিষয় নিয়ে নির্ভয়ে কথা বলেছেন, যা প্রমাণ করে যে তিনি শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রী নন, বরং একজন সচেতন এবং দায়িত্বশীল নাগরিকও। তাঁর কাছে দেশের সম্মান সর্বপ্রথম আসে, এই বিষয়টিই তাঁর ভক্তদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে।

Leave a comment