চণ্ডীগড়ে পঞ্জাবী গায়ক দিলজিৎ দোসাঁঝের ১৪ ডিসেম্বরের কনসার্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যার ফলে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। এই রিটে কনসার্টের সুরক্ষা, যানবাহন ব্যবস্থাপনা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দানের দাবি করা হয়েছে। আজ হাইকোর্টে এই বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রিটে কোন কোন প্রশ্ন উঠেছে?
চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা রণজিৎ সিংহ এই রিটটি দায়ের করেছেন। তিনি চণ্ডীগড় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, কনসার্টের সুরক্ষা ও ব্যবস্থার প্রতিবেদন জমা না দেওয়া পর্যন্ত সংগঠকদের সেক্টর ৩৪-এর প্রদর্শনী মাঠে এটি আয়োজন করতে দেওয়া হবে না। রিটে আরও বলা হয়েছে যে, বাসস্থান ও ব্যবসায়িক এলাকা থেকে দূরে অন্যান্য বিকল্প স্থান নির্বাচন করতে হবে যাতে নাগরিকদের কোনও অসুবিধা না হয়।
সুরক্ষা ও যানবাহন ব্যবস্থার জন্য কোন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে?
রিটে সুরক্ষা, যানবাহন ও অন্যান্য সार्वजनिक ব্যবস্থার জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করার দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও বড় আকারের অনুষ্ঠানের কারণে নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন বা প্রয়োজনীয় সেবা ব্যাহত হবে না তা নিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে। রিটে চণ্ডীগড় প্রশাসন, ডিজিপি, নগর কর্পোরেশন এবং ইভেন্ট সংস্থাগুলিকে প্রতিক্রিয়াশীল পক্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রিটে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে এই ধরনের আয়োজন নিয়ন্ত্রণের জন্য স্পষ্ট ও কঠোর নিয়মাবলী প্রয়োজন।
কনসার্টে মদ পানের ব্যাপারেও উদ্বেগ
এর আগে, সিপিসিপির সভাপতি শিপ্রা সংগঠকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে তারা ২৫ বছরের কম বয়সীদের মদ পান করতে দেবেন না। এমন করলে জে জে আইন ও অন্যান্য আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। কনসার্টের সময় সম্ভাব্য অবাধ্যতা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তি
চণ্ডীগড়ের বেশ কয়েকটি রেজিডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এবং স্থানীয় নাগরিকরাও এই কনসার্টের বিরোধিতা করেছেন। তাদের দাবি, সেক্টর ৩৪-এর প্রদর্শনী মাঠে এই ধরনের বড় আয়োজনের ফলে কেবলমাত্র বাসিন্দাদেরই নয়, যানজট এবং অতিরিক্ত শব্দের সমস্যাও দেখা দেয়। তারা চায় যে ভবিষ্যতে এই ধরনের অনুষ্ঠান শহরের মাঝখানে আয়োজন করা হোক না।
বিভিন্ন স্তরের সমাজের আপত্তি
রেজিডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা চণ্ডীগড়ের উপ-আধিকারিককে একটি স্মারকলিপি দিয়ে জানিয়েছেন যে, শহরের ব্যস্ত এলাকায় এই ধরণের আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। তাদের দাবি, পুলিশ ব্যবস্থা ও যানজটের কারণে আশেপাশের সেক্টরে বসবাসকারী মানুষ নিজেদের ঘরে আটকে থাকে এবং ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখীন হয়।
এখন দেখতে হবে হাইকোর্ট এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং কনসার্টের আগে প্রশাসনকে সুরক্ষা ও যানবাহন ব্যবস্থার বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে কি না।