করণ জোহর সম্প্রতি তাঁর নতুন ছবির ঘোষণা করেছেন, যা সি শঙ্করন নায়ার (C Sankaran Nair) -এর জীবনী নির্ভর। ছবিতে অক্ষয় কুমার, আর মাধবন এবং অনন্যা পান্ডে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন। এই ছবির আলোচনার মাঝেই আমরা আপনাদের হিন্দি সিনেমার সেই ছবির কথা জানাবো, যাকে প্রথম হিন্দি বায়োপিক ছবি বলে মনে করা হয়।
New Delhi: ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা ব্যারিস্টার সি শঙ্করন নায়ার (C Sankaran Nair)-এর উপর একটি বায়োপিক নির্মাণ করা হচ্ছে, যার প্রযোজনা করণ জোহর (Karan Johar) করছেন। বড় পর্দায় অনেক বায়োপিক নির্মিত হলেও, কি আপনি ভারতের প্রথম হিন্দি বায়োপিক ছবির কথা জানেন? এই লেখায় আমরা আপনাকে ভারতের প্রথম হিন্দি বায়োপিক ছবির কথা জানাবো, যা ১১১ বছর আগে সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছিল এবং একটি নতুন ইতিহাস রচনা করেছিল।
ভারতের প্রথম বায়োপিক ছবি
এই গল্প সেই সময়ের, যখন ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প এখনও প্রতিষ্ঠিত ছিল না। ঠিক এ সময়ই দাদাসাহেব ফাল্কে (Dadasaheb Phalke)-র মনে একটা ছবি বানানোর চিন্তা আসে, যার নাম রাখা হয় 'রাজা হরিশচন্দ্র' (Raja Harishchandra)।
এটি কেবল ভারতের প্রথম ফিচার ফিল্মই ছিল না, বরং প্রথম বায়োপিক ছবিও ছিল। 'রাজা হরিশচন্দ্র' একটি মৌন চলচ্চিত্র ছিল, যা ১৯১৩ সালে মুক্তি পায়। এর নির্মাণ ও পরিচালনা দাদাসাহেব ফাল্কে নিজেই করেছিলেন। এই ছবিটি রাজা হরিশচন্দ্রের জীবনী নির্ভর।
ছবিতে কেবল পুরুষ कलाकार
জানলে অবাক হবেন, কিন্তু 'রাজা হরিশচন্দ্র'-তে কেবলমাত্র পুরুষ অভিনেতারাই মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। হরিশচন্দ্রের চরিত্রে ছিলেন দত্তাত্রয় দামোদর দাবকে, আর তাঁর স্ত্রী তারামতীর চরিত্রে কোনও নারী নয়, বরং অভিনেতা আন্না সালুংকে (Anna Salunke)।
ছবির অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন গজানন বাসুদেব সানে, দত্তাত্রয় তেলাং, গণপত জি শিন্দে, বিষ্ণু হরি আউন্ডকর এবং নাথ টি তেলাং- সকলেই পুরুষ তারকা।
কি হারিয়ে গেছে ছবিটি?
IMDb-এর মতে, দাদাসাহেব ফাল্কে-র 'রাজা হরিশচন্দ্র'-র রিল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনার পর ১৯১৭ সালে ছবিটির রিমেক 'সত্যবাদী রাজা হরিশচন্দ্র' নির্মিত হয়, যার পরিচালক ছিলেন রুস্তমজি ধোতিওয়ালা। আসল ছবির কেবলমাত্র প্রথম ও শেষ রিল পাওয়া গেছে, যা বর্তমানে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র সংরক্ষণাগারে সংরক্ষিত আছে।
রাজা হরিশচন্দ্র বানানোর আইডিয়া কোথা থেকে এসেছিল?
দাদাসাহেব ফাল্কে-র মনে 'দ্য লাইফ অফ ক্রাইস্ট' ছবি দেখে 'রাজা হরিশচন্দ্র' বানানোর আইডিয়া আসে। তিনি ১৯১১ সালে এই ছবিটি দেখেছিলেন, এরপর তিনি 'রাজা হরিশচন্দ্র' নামে মৌন চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তিনি লন্ডনে দুই সপ্তাহ চলচ্চিত্র নির্মাণের কৌশল অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তাঁর জ্ঞানের ব্যবহার করে তিনি 'রাজা হরিশচন্দ্র' নির্মাণ করেন এবং চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেন। ছবিটি মুক্তি পেলেই দর্শকদের কাছে হিট হয়ে যায়।
