চীন-পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র: বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ভারত ঘেরাওয়ের নতুন পরিকল্পনা

🎧 Listen in Audio
0:00

চীন ও পাকিস্তান বাংলাদেশকে সাথে মিলিয়ে ভারতকে ঘেরাও করার ষড়যন্ত্র করছে। মোহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা এবং আইএসআই-এর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পাকিস্তান: সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনব্যাপী সামরিক সংঘর্ষের পর যদিও যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তবে উত্তেজনা কমেনি। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কোনও সন্ত্রাসী হামলাকে এখন সরাসরি যুদ্ধ হিসেবে ধরা হবে। এদিকে, চীন ও পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে নতুন মোর্চা খোলার পরিকল্পনা করছে, যাতে বাংলাদেশ এবং মোহাম্মদ ইউনূসও জড়িত।

পাক-চীন জোটের চ্যালেঞ্জ

পাকিস্তান ও চীন ভারতের বিরুদ্ধে মিলে একটি নতুন কৌশল প্রণয়ন করেছে। সাম্প্রতিক সামরিক সংঘর্ষে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী চীনা অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল ছিল, কিন্তু ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দিয়েছে। এতে চীনেরও মর্যাদা হুমকির মুখে পড়েছে। এখন উভয় দেশ কাশ্মীর থেকে তাদের দৃষ্টি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের দিকে নিবদ্ধ করছে।

বাংলাদেশের ভূমিকা এবং মোহাম্মদ ইউনূসের প্রভাব

যদিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এই জোট থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে, কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসছে। মোহাম্মদ ইউনূস, যিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, এই জোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি মার্চ ২০২৫ সালে বাংলাদেশকে উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য সমুদ্রের রক্ষাকর্তা বলে অভিহিত করেছিলেন এবং এটিকে চীনের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের অংশ বলে মনে করেছিলেন।

পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র এবং আইএসআই-এর সক্রিয়তা

পাকিস্তান চীনের স্বার্থ বাংলাদেশে বাড়ানোর জন্য মোহাম্মদ ইউনূসকে ব্যবহার করছে। এছাড়াও, আইএসআই অর্থাৎ পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছে। জানুয়ারী ২০২৫ সালে আইএসআই-এর চারজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ঢাকায় এসেছিলেন, যাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এনএসএ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক। তবে, সেনাবাহিনীর অধিকাংশ জেনারেল জেনারেল জামানের সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন।

চীনের বর্ধমান সক্রিয়তা এবং ভারতবিরোধী পদক্ষেপ

চীন বাংলাদেশে ভারতের বাণিজ্যিক প্রভাব কমাতে চেষ্টা করছে। এজন্য চীন সস্তা কাপড়, মেশিনারি এবং অন্যান্য পণ্যের আমদানি বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানের আইএসআই বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলাম ও জামাতে ইসলামী-র মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলিকেও অর্থ সাহায্য করছে যাতে তারা ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে।

উত্তর-পূর্ব ভারতে অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা

পাকিস্তান উত্তর-পূর্ব ভারতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে সক্রিয় করে ভারতের বিরুদ্ধে অস্থিরতা ছড়াতে চায়। বাংলাদেশে পাকিস্তান সমর্থক গোষ্ঠীর সাহায্যে এই প্রচেষ্টা চলছে। সম্প্রতি ত্রিপুরা ও আসামে পাকিস্তানি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে, যা এই সক্রিয়তার ইঙ্গিত বহন করে।

ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের কৌশল

চীন-পাকিস্তানের এই নতুন মোর্চার মোকাবেলা করার জন্য ভারতকে কঠোর ও সতর্ক থাকতে হবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রয়োজন। ভারত সরকারকে এই বিপদগুলি মোকাবেলা করার জন্য কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা উভয় স্তরে সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

Leave a comment