ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞা: ১২ দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ

🎧 Listen in Audio
0:00

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে আফগানিস্তান, ইরানসহ ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। এই নিয়ম ৯ জুন থেকে কার্যকর হবে।

আমেরিকা: पूर्व अमेरिकी राष्ट्रपति ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও একটি বড় এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের পিছনে সন্ত্রাসবাদ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব লক্ষ লক্ষ মানুষের উপর পড়বে, বিশেষ করে সেইসব দেশের নাগরিকদের উপর যারা আমেরিকায় পড়াশোনা, ব্যবসা বা বসবাসের পরিকল্পনা করছিলেন।

ট্রাম্পের কঠোর সিদ্ধান্ত: ১২টি দেশের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার নিরাপত্তা শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে যাদের উপর সরাসরি প্রভাব পড়বে, তাদের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, মায়ানমার, হাইতি, সুদান, সোমালিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন, চাঁদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি এবং এরিত্রিয়া।

এছাড়াও কিছু অন্যান্য দেশ যেমন বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের প্রবেশ আংশিকভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। অর্থাৎ, এই দেশগুলির নাগরিকরা বিশেষ পরিস্থিতিতে ই ভিসা পাবেন বা ভ্রমণের অনুমতি পাবেন।

জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদের অজুহাত

ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণরূপে আমেরিকার নিরাপত্তা প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। আমেরিকা সরকারের আশঙ্কা, এই দেশগুলি থেকে আসা কিছু ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত হতে পারে বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।

এছাড়াও দেখা গেছে যে, অনেক সময় কিছু বিদেশী নাগরিক আমেরিকায় ভিসা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে থেকে যায়। এ ব্যাপারে এখন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রাম্প তার বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি এই সিদ্ধান্ত বিদেশ নীতি, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী নীতি এবং আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে মাথায় রেখে নিয়েছেন।

৯ জুন থেকে কার্যকর হবে নতুন নিষেধাজ্ঞা

এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৯ জুন ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। ট্রাম্প কর্তৃক স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র অনুসারে, এই তারিখের পর উপরোক্ত দেশগুলির নাগরিকরা আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। পূর্বে ভিসা নেওয়া ব্যক্তিরাও এর প্রভাবে পড়তে পারেন, কারণ কর্মকর্তাদের আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্প আগেও এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন

এটি প্রথমবার নয় যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে, ২০17 সালে তার প্রথম कार्यकाल-এর সময় ট্রাম্প বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের উপরও একই ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। সেই সময় তিনিও সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমালিয়া-র মতো দেশগুলির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে হাজার হাজার মানুষের ভ্রমণ ব্যাহত হয়েছিল। অনেক ভ্রমণকারীকে আমেরিকার বিমানবন্দর থেকেই ফিরে যেতে হয়েছিল, আর অনেকে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় আমেরিকার আদালত এবং মানবাধিকার সংগঠন এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিল।

আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসন একটি বড় উদ্বেগ

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসন (Illegal Immigration) রোধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ট্রাম্পের মতে, এটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বোঝা বাড়ায় না, নিরাপত্তার জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে।

তার দাবি, অনেক সময় এমন ব্যক্তিরা আমেরিকায় থেকে জাল কাগজপত্র দিয়ে কাজ শুরু করে বা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি আগেও 'Build the Wall' এর মতো অভিযান পরিচালনা করেছিলেন, যার মাধ্যমে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল।

Leave a comment