প্রত্যেক মানুষই তার জীবনে সুখী থাকতে চায়, কিন্তু আজকের দ্রুতগতির জীবনে চাপ, উদ্বেগ এবং নেতিবাচকতায় ঘেরা থাকা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০শে মার্চ পালিত আন্তর্জাতিক সুখ দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে সুখী থাকা শুধুমাত্র আমাদের অধিকার নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনও বটে।
সুখ দিবসের ইতিহাস: একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপের বৃহৎ উদ্যোগ
সংযুক্ত জাতি 2012 সালে এই দিবসের সূচনা করে। 2013 সাল থেকে প্রতি বছর 20শে মার্চ এটি পালিত হচ্ছে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের মানুষকে বুঝিয়ে দেওয়া যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সুখও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিবসের পেছনে ‘অ্যাকশন ফর হ্যাপিনেস’ নামক একটি অলাভজনক সংস্থারও ব্যাপক অবদান রয়েছে, যার সাথে 160টি দেশের মানুষ জড়িত।
সুখের অমূল্য মুহূর্ত এবং তাদের গুরুত্ব
আমরা প্রায়ই মনে করি যে সুখ কোনো বিশেষ সাফল্য অথবা সিদ্ধির মাধ্যমে আসে, কিন্তু আসলে এটি আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তগুলোতে লুকিয়ে থাকে। যেমন কোনো প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো, নিজের শখ পূরণ করা, কোনো দরিদ্রের সাহায্য করা অথবা একটি শান্ত মুখের হাসি দিয়ে দিনের সূচনা করা।
সুখী জীবনের জন্য করুন এই ছোটো কিন্তু কার্যকর প্রচেষ্টা
ধ্যান ও যোগ: প্রতিদিন কিছু সময় নিজেকে দিন, ধ্যান ও যোগাসন করুন। এটি মানসিক শান্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: প্রতিদিনের শুরু ও শেষে সেসব বিষয়ের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন যা আপনার জীবনকে উন্নত করেছে।
সकारात्मক চিন্তাভাবনা: নেতিবাচকতা থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনন্দের মূল্য অনুধাবন করুন।
সামাজিকতা: পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটান। তাদের আনন্দে আপনার আনন্দ খুঁজে পান।
সেবাभाव: অন্যদের সাহায্য করুন। কারও মুখে হাসি ফোটানো আপনার হৃদয়কেও আনন্দিত করবে।
সংক্রামক সুখ, ছড়িয়ে দিন এটি
বৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে সুখ একটি সংক্রামক অনুভূতি। আপনি যদি হাসেন, তাহলে আপনার চারপাশের মানুষও ইতিবাচকতা অনুভব করবে। একটি ছোট্ট ‘ধন্যবাদ’ অথবা ‘আপনার হাসি সুন্দর’ বলেও কারও দিন ভালো করা যায়। এই দিনটিকে শুধু একটি দিন হিসেবে দেখবেন না। এটিকে এমন একটি সূচনা হিসেবে ধরুন, যেখান থেকে আপনি প্রতিদিনকে সুখী ও ইতিবাচক করে তুলতে পারেন। আপনার আনন্দ ভাগ করে নিন, অন্যদের হাসির কারণ হোন এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উদযাপন করুন।