ট্রাম্পের ট্যারিফের ক্ষতি পুষিয়ে উঠল ভারত: নিফটি লাফিয়ে উঠল

🎧 Listen in Audio
0:00

ট্রাম্পের ট্যারিফের ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে উঠল ভারত। নিফটি 2.4% লাফিয়ে উঠল, ট্রাম্পের ট্যারিফের ক্ষতি পুষিয়ে উঠা বিশ্বের প্রথম বৃহৎ বাজার হিসেবে ভারতের নাম লেখা হল।

শেয়ার বাজার: মঙ্গলবার ভারতের শেয়ার বাজার খোলার সাথে সাথেই নিফটি 50 সূচকে 2.4% পর্যন্ত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতির ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে উঠেছে ভারত। নিফটি 2 এপ্রিলের ক্লোজিং লেভেল অতিক্রম করেছে এবং এর ফলে ভারত বিশ্বের প্রথম বৃহৎ বাজার হিসেবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠেছে। এই উত্থান ভারতকে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যখন এশিয়ার অন্যান্য প্রধান বাজার এখনও 3% এর বেশি নেমে আছে।

ভারতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি

বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগকারীরা এখন ভারতীয় বাজারকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ স্থান হিসেবে বিবেচনা করছেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সাথে ভারতের বৃহৎ ঘরোয়া অর্থনীতির উত্তমভাবে লড়াই করার ক্ষমতা দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, আমেরিকার ট্যারিফের প্রভাব অনেক দেশের উপর সরাসরি পড়েছে, যখন ভারত এই সংকটের মুখোমুখি শান্তিপূর্ণভাবে থেকেছে এবং অস্থায়ী বাণিজ্য চুক্তিতে মনোযোগ দিয়েছে।

গ্লোবাল সিআইও অফিসের সিইও গ্যারি ডুগান বলছেন যে তাঁর কোম্পানি ভারতে আরও বিনিয়োগ করছে। তাঁর মতে, ভারতের ঘরোয়া উন্নয়ন শক্তিশালী এবং চীন থেকে সরবরাহ শৃঙ্খল সরে যাওয়ার কারণে ভারত একটি নিরাপদ বিনিয়োগের বিকল্প হয়ে উঠছে।

নিফটি এবং শেয়ার বাজারে উন্নতি

গত কয়েক মাসে ভারতীয় শেয়ার বাজারে প্রায় 10% হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু এখন বাজারে স্বস্তির পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। শেয়ারের দাম তুলনামূলকভাবে সস্তা হয়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন যে রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমাতে পারে, যা অর্থনীতিকে সমর্থন করবে। এছাড়াও, খনিজ তেলের দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মনোবল বেড়েছে।

কম আমেরিকান নির্ভরতা: ভারতের জন্য লাভজনক

সোসিয়েটে জেনারেলের কৌশলবিদ রাজত আগরওয়াল বলছেন, "ভারত আমেরিকার ট্যারিফ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়, কিন্তু এর প্রভাব অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।" ভারতের আমেরিকান বাজারে কম নির্ভরতা এবং তেলের দাম কমে যাওয়া একে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ বিকল্প করে তুলেছে।

ভারত: একটি নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে আমেরিকার মোট আমদানির মধ্যে ভারতের অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ২.৭%, যখন চীনের অংশগ্রহণ ছিল ১৪%। এ কারণেই বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা-এর মধ্যে ভারতকে একটি কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং নিরাপদ বিনিয়োগ বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

Leave a comment