সেবি'র নতুন নিয়ম: আইপিও-র আগে প্রমোটারদের শেয়ার ডিম্যাট ফর্মে রাখা বাধ্যতামূলক

🎧 Listen in Audio
0:00

SEBI আইপিও আনার আগে প্রমোটার ও প্রধান শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার ডিম্যাট ফর্মে রাখার নিয়ম বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। এই পদক্ষেপটি স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া হয়েছে।

SEBI IPO: মার্কেট রেগুলেটর SEBI (Securities and Exchange Board of India) সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে, যা আইপিও (Initial Public Offering) আনার ইচ্ছুক কোম্পানিগুলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। SEBI জানিয়েছে যে, এখন থেকে যে কোনও কোম্পানির পরিচালক, প্রমোটার এবং বড় শেয়ারহোল্ডারদের আইপিও আনার পরিকল্পনা থাকলে তাদের শেয়ার ডিম্যাট ফর্মে রাখতে হবে। শেয়ার ট্রান্সফারে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য SEBI এই নতুন পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছে।

কী পরিবর্তন আসছে?

এখন, যদি কোনও কোম্পানি আইপিও আনার পরিকল্পনা করে, তাহলে তার পরিচালক, প্রমোটার গ্রুপ, উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা (Senior Management), কী ম্যানেজারিয়াল পার্সোনাল (KMPs), কর্মচারী এবং অন্যান্য প্রধান শেয়ারহোল্ডারদের তাদের শেয়ার ডিম্যাট ফর্মে রাখতে হবে। এই নিয়ম শুধুমাত্র প্রমোটারদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং কোম্পানির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। প্রতিবেদন অনুসারে, SEBI এই ব্যাপারে একটি প্রস্তাব জারি করেছে, যা জনসাধারণের পরামর্শের জন্য ২০ মে ২০২৫ পর্যন্ত রাখা হয়েছে। এই তারিখের পরে, এর উপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

SEBI-র উদ্দেশ্য কী?

SEBI এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছে ভৌত শেয়ারের সাথে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে, যেমন শেয়ার ট্রান্সফারে বিলম্ব, প্রতারণা এবং সেটলমেন্টে গোলযোগের সম্ভাবনা দূর করার জন্য। SEBI মনে করে যে, বড় সংখ্যক প্রি-আইপিও শেয়ারহোল্ডারের কাছে এখনও ভৌত শেয়ার রয়েছে, এবং यही কারণে লিস্টিংয়ের পরেও শেয়ার ভৌত আকারে থাকে, যার ফলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়।

বর্তমানে কী নিয়ম রয়েছে?

এখন পর্যন্ত, শুধুমাত্র প্রমোটারদের আইপিও ড্রাফ্ট পেপার ফাইল করার সময় তাদের শেয়ার ডিম্যাট ফর্মে রাখার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নতুন প্রস্তাব অনুসারে, এখন পরিচালক, উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা, কর্মচারী এবং শেয়ারহোল্ডারদেরও ডিম্যাট ফর্মে শেয়ার রাখতে হবে।

SEBI কেন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে?

SEBI-র বক্তব্য, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কোম্পানির আইপিও এবং লিস্টিং প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করে তোলা। এর ফলে ভৌত শেয়ারের সাথে যুক্ত সমস্ত ঝুঁকি কমবে এবং শেয়ার ট্রান্সফারে কোনও বিলম্ব হবে না। এছাড়াও, লিস্টিংয়ের পরে স্বচ্ছতাও নিশ্চিত হবে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের কোনও অসুবিধা হবে না।

Leave a comment