ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক: সেবির তদন্ত, হিসাবরক্ষণে ত্রুটি, এবং শেয়ারের ধস

🎧 Listen in Audio
0:00

সেবি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ লেনদেন এবং হিসাবরক্ষণে ত্রুটির তদন্ত শুরু করেছে। ব্যাংক ডেরিভেটিভ ক্ষতির তথ্যও প্রকাশ করেছে। এর পরেই শেয়ারের ব্যাপক ধস নেমেছে। ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনের আভাস ঘনীভূত, ব্যাংক বহিরাগত সংস্থা নিযুক্ত করেছে।

IndusInd Bank Share: বেসরকারি খাতের ইন্ডাসইন্ড ব্যাংকের (IndusInd Bank) সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ভারতীয় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড (SEBI) ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারা অভ্যন্তরীণ লেনদেন (Insider Trading) এর তদন্ত করছে। SEBI ব্যাংকের কাছ থেকে তাদের পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার লেনদেনের তথ্য চেয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি তদন্ত করছে যে কর্মকর্তাদের কাছে কি এমন গোপনীয় তথ্য ছিল যা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হয়নি। SEBI এটাও মূল্যায়ন করছে যে ব্যাংক কি তথ্য প্রকাশের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে কিনা।

হিসাবরক্ষণে ত্রুটি নিয়েও তদন্ত চলছে

ইন্ডাসইন্ড ব্যাংকের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ লেনদেন নয়, হিসাবরক্ষণ সংক্রান্ত ত্রুটি নিয়েও তদন্ত চলছে। ব্যাংক সম্প্রতি স্বীকার করেছে যে তাদের কারেন্সি ডেরিভেটিভস বুকিংয়ে হিসাবরক্ষণে গড়বড় পাওয়া গেছে। এই গড়বড় প্রায় ছয় বছর পুরানো এবং এর আনুমানিক প্রভাব ১৭.৫ কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এই বিষয়ের গভীর তদন্তের জন্য ব্যাংক গ্রান্ট থর্নটনকে নিযুক্ত করেছে, যারা মূল্যায়ন করবে যে এতে কোন ধরণের জালিয়াতি বা অভ্যন্তরীণ ত্রুটির কোনো ইঙ্গিত আছে কিনা।

ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা

ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক ৭ মার্চ স্টক এক্সচেঞ্জগুলিকে জানিয়েছিল যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (MD) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) সুমন্ত কাঠপালিয়ার মেয়াদ এক বছরের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে, যা ২৩ মার্চ, ২০২৬ পর্যন্ত থাকবে। তবে, এর পরে ব্যাংক ১০ মার্চ তাদের হিসাবরক্ষণে ত্রুটির তথ্য প্রকাশ করে, যার ফলে ব্যাংকের নেট ওয়ার্থের উপর প্রায় ২.৩৫% প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এর ফলে ব্যাংককে ১,৬০০ কোটি টাকা প্রোভিশনিং করতে হয়েছে।

ইন্ডাসইন্ড ব্যাংকের শেয়ারে ব্যাপক ধস

গত এক মাসে ইন্ডাসইন্ড ব্যাংকের শেয়ারে ৩৮% এর বেশি ধস নেমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ব্যাংকের শেয়ার NSE তে ৬৪৮.৯৫ টাকা প্রতি শেয়ারে লেনদেন হয়েছে, যা ৬.৩৫ টাকা বা ০.৯৭% কম। গত ছয় মাসে ব্যাংকের শেয়ার ৫৫% পর্যন্ত নেমে গেছে। ব্যাংকের ৫২-সপ্তাহের উচ্চতম মূল্য ছিল ১,৫৭৬ টাকা।

অভ্যন্তরীণ লেনদেন কী?

অভ্যন্তরীণ লেনদেন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোনও কোম্পানির অভ্যন্তরীণ এবং অ-জনসাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে তার শেয়ারের লেনদেন করা হয়। এটি অনৈতিক এবং অবৈধ কার্যকলাপ কারণ এটি কিছু বিনিয়োগকারীকে অনুচিত লাভ দান করে, যার ফলে বাজারে অসমতা তৈরি হয়। SEBI এই ধরণের কার্যকলাপের উপর কঠোর নজর রাখে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়।

Leave a comment