অদানি গ্রুপের বিমানবন্দর ইউনিটের ২০২৭ সালে IPO-র পরিকল্পনা

🎧 Listen in Audio
0:00

গৌতম অদানির নেতৃত্বাধীন অদানি গ্রুপ এখন তাদের বিমানবন্দর ইউনিটকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের মতে, অদানি গ্রুপ ২০২৭ সালের মধ্যে অদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেড (AAHL) -এর IPO আনার পরিকল্পনা করছে।

Adani Airports IPO: ভারতের অন্যতম শিল্পপতি গৌতম অদানির নেতৃত্বাধীন অদানি গ্রুপ তাদের বিমানবন্দর ইউনিট, অদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেড (AAHL), কে ২০২৭ সালের মধ্যে জনসাধারণের বাজারে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপটি গ্রুপের ১০০ বিলিয়ন ডলারের মূলধন ব্যয় (CapEx) পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য শক্তি, অবকাঠামো এবং লজিস্টিক্সের মতো ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ করা।

অদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংসের বর্তমান কার্যক্রম

অদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস বর্তমানে ভারতের আটটি প্রধান বিমানবন্দর পরিচালনা করে, যার মধ্যে রয়েছে আহমেদাবাদ, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, লখনউ, ত্রিভেন্দ্রম, মঙ্গালুরু এবং গুয়াহাটি। এছাড়াও, গ্রুপ নবী মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা আগামী বছরগুলিতে পরিচালনায় আসবে।

IPO-র মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের পরিকল্পনা

গ্রুপের পরিকল্পনা হল IPO-র মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ইকুইটি সংগ্রহ করা। এই অর্থ বিমানবন্দর পরিচালনার সম্প্রসারণ, উন্নয়ন এবং অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও, অদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলির একটি কনসোর্টিয়াম থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে, যার মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বর্তমান ঋণের পুনর্মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে।

১০০ বিলিয়ন ডলারের মূলধন ব্যয় পরিকল্পনা

অদানি গ্রুপ আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার মূলধন ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে। এর বেশিরভাগ অর্থ শক্তি সংক্রান্ত প্রকল্প, সবুজ শক্তি উপাদান এবং ডিজিটাল অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করা হবে। এছাড়াও, গ্রুপ রাজস্থান রাজ্যে ৮৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং সিমেন্টের মতো ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ।
reuters.com

ডিমার্জার এবং স্বাধীন পরিচালনার দিক

অদানি গ্রুপের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা, যুগেশিন্দর সিং নিশ্চিত করেছেন যে ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে বিমানবন্দর ব্যবসায়িক কার্যক্রম ডিমার্জারের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে। তিনি বলেছেন যে বিমানবন্দর ব্যবসায়িক কার্যক্রম অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন, সাংগঠনিকভাবে সক্ষম এবং ক্রমাগত বিনিয়োগ করতে সক্ষম হতে হবে, যাতে এটি স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতে পারে।

সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং কৌশলগত পদক্ষেপ

যদিও অদানি গ্রুপের পরিকল্পনা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তবে গ্রুপকে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতে পারে। গত কয়েক বছরে, গ্রুপের উপর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কর্তৃক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার পরে গ্রুপের কোম্পানিগুলির শেয়ারের দামে গिराওত হয়েছিল। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিল, যদিও অদানি গ্রুপ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই পরিস্থিতিতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করার জন্য গ্রুপকে স্বচ্ছতা এবং কর্পোরেট গভর্ন্যান্সে উন্নতি সাধন করতে হবে।

Leave a comment