মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ রানে পরাজিত করে ফাইনালে প্রবেশ করেছে। নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১২৮ রান তোলে। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে মাত্র ১২০ রানেই থেমে যায় এবং ৮ রানে পরাজিত হয়।
খেলাধুলা সংবাদ: দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার ভাগ্য এক অদ্ভুত মোড় নিয়েছে। প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো দুটি নতুন দল ফাইনালে পৌঁছেছে, যার ফলে এ বছর এক নতুন চ্যাম্পিয়ন পাওয়া যাবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে, অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ রানে হারিয়ে ১৪ বছর পর ফাইনালে ফিরেছে।
নিউজিল্যান্ড শেষবার ২০০৯ এবং ২০১০ সালে মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল, কিন্তু দু’বারেই তারা রানার্স আপ হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হয়েছিল। এবার সোফি ডিভাইনের নেতৃত্বে কিউই দলের লড়াই হবে লরা ওলভার্ডের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০১৬ সালের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল, আর এবার নিউজিল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে।
ম্যাচের সারসংক্ষেপ দেখুন
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১২৮ রান করে। এই চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কঠিন সংগ্রাম করে এবং ৮ উইকেটে ১২০ রান করে, ফলে নিউজিল্যান্ড ৮ রানে জয়ী হয়। নিউজিল্যান্ডের জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বোলার এডেন কার্সন। তার দারুণ বোলিংয়ের জন্য তাকে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরষ্কার দেওয়া হয়। কার্সন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন যা তার দলকে ফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। তার এই পারফর্মেন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন সুজি বেটস এবং জর্জিয়া প্লিমার, এবং দুজনেই প্রথম উইকেটের জন্য ৪৮ রানের জুটি গড়ে। বেটস ২৬ রান করেছিলেন, অন্যদিকে জর্জিয়া ৩৩ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন। তবে এরপর নিয়মিত ব্যবধানে কিউই দলের উইকেট পতন হতে থাকে, যার ফলে তারা বড় স্কোর তুলতে পারেনি। শেষ দিকে ইসাবেলা গেজ অপরাজিত ২০ রান করে, যার ফলে নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৮ রানে পৌঁছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলার ডায়ান্ড্রা ডট্টিন দারুণ বোলিং করে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসকে সীমিত রাখেন।
নিউজিল্যান্ডের দারুণ বোলিং
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ১২৯ রানের লক্ষ্য ছোটো মনে হলেও, নিউজিল্যান্ডের বোলাররা দারুণ পারফর্মেন্স করে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা খারাপ ছিল, ১৬ রানেই তাদের প্রথম উইকেট পড়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিং করে এবং চাপ বজায় রাখে। অধিনায়ক হেলি ম্যাথিউজ (১৫) আউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ঝাঁকুনি খায়। ডায়ান্ড্রা ডট্টিন বোলিংয়ে দারুণ খেলা দেখানোর পর ব্যাটিংয়েও ৩৩ রান করে দারুণ খেলা দেখান।
সে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিরুদ্ধে একা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, কিন্তু আমেলিয়া কের তার উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পথ সুগম করে দেন। নিউজিল্যান্ডের জন্য এডেন কার্সন ৩ উইকেট নেন, আমেলিয়া কের ২ উইকেট নেন এবং দলকে ৮ রানে জয় এনে ফাইনালে জায়গা করে দেয়।