অণ্ডারটেকারের স্বীকারোক্তি: রেসলিংয়ে স্টেরয়েডের ব্যবহারের চাপ

অণ্ডারটেকারের স্বীকারোক্তি: রেসলিংয়ে স্টেরয়েডের ব্যবহারের চাপ
সর্বশেষ আপডেট: 04-05-2025

রেসলিংয়ের दिগ্গজ দ্য অণ্ডারটেকার জো রোগানের সাথে এক অন্তর্বতীতে নিজের কর্মজীবনের সাথে জড়িত একটা বড়ো তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তার সময়ে রেসলারদের উপর বড়ো ও শক্তিশালী দেখানোর প্রচণ্ড চাপ ছিল। অণ্ডারটেকার বলেছেন যে, সেই সময়ে স্টেরয়েড ব্যবহার শিল্পে সাধারণ ঘটনা ছিল।

WWE: রেসলিং জগতের অন্যতম মহান তারকা মার্ক ‘দ্য অণ্ডারটেকার’ ক্যালওয়ে সম্প্রতি এক অবাক করা তথ্য প্রকাশ করেছেন। জো রোগানের পডকাস্ট ‘দ্য জো রোগান এক্সপিরিয়েন্স’-এর সাক্ষাৎকারে অণ্ডারটেকার স্বীকার করেছেন যে, নিজের কর্মজীবনের সময় তিনি স্টেরয়েড ব্যবহার করেছেন। তার এই বক্তব্য রেসলিং জগতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে, কারণ এটি সেই সময়ের মানসিকতা ও চাপকে উন্মোচন করে যখন রেসলারদের উপর বড়ো ও শক্তিশালী দেখানোর অত্যধিক চাপ ছিল।

রেসলিং-এ স্টেরয়েডের চাপ

অণ্ডারটেকার জানিয়েছেন যে, ১৯৯০-এর দশকে রেসলিং শিল্পে এটা একটা সাধারণ ধারণা ছিল যে, একজন রেসলারকে বিশাল ও শক্তিশালী দেখাতে হবে। তিনি বলেছেন, এক সময় ছিল যখন আপনাকে ‘জ্যাকড’ হতে হতো। বিশেষ করে বড়ো লোকদের সাথে এটা একটা কলঙ্ক ছিল। আপনাকে ৩০০ পাউন্ড ওজনের হতে হতো, এটা আমাদের মনে ছিল। এই মানসিকতার ফলে অনেক রেসলার স্টেরয়েডের আশ্রয় নিয়েছিলেন যাতে তারা সেই প্রত্যাশিত দেহ গঠন পেতে পারেন।

অণ্ডারটেকার আরও জানিয়েছেন যে, WWE ২০০৬ সালে ‘ট্যালেন্ট ওয়েলনেস প্রোগ্রাম’ শুরু করেছে, যা রেসলারদের স্বাস্থ্য ও ড্রাগস ব্যবহারের উপর নজরদারি রাখে। এই কর্মসূচির আওতায় রেসলারদের নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় যাতে তারা সুস্থ থাকেন এবং যেকোনো ধরণের অবৈধ পদার্থ থেকে দূরে থাকেন। অণ্ডারটেকার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে, এখন রেসলিং শিল্প আগের চেয়ে অনেক বেশি পেশাদার এবং স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছে।

জন সিনার প্রতিক্রিয়া

অণ্ডারটেকারের এই বক্তব্যের উপর WWE-র সুপারস্টার জন সিনা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, বর্তমান রেসলারদের ‘সফট’ বলা ঠিক নয়। সিনা বলেছেন, আমি অণ্ডারটেকারের কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত নই। আমি মনে করি না যে আজকের রেসলাররা সফট, তারা শুধু ভিন্ন। সিনার মতে, সময়ের সাথে সাথে রেসলিংয়ের ধরণ ও প্রত্যাশা বদলে গেছে এবং বর্তমান রেসলাররা এই নতুন চ্যালেঞ্জগুলির সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে চলেছে।

রেসলিংয়ের পরিবর্তনশীল জগৎ

অণ্ডারটেকারের এই স্বীকারোক্তি রেসলিং জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচনা করেছে। এটা স্পষ্ট করে যে, এক সময় রেসলারদের উপর শারীরিকভাবে বিশাল দেখানোর চাপ ছিল এবং তার জন্য তারা স্টেরয়েডের মতো বিপজ্জনক উপায়ের আশ্রয় নিত। তবে, সময়ের সাথে সাথে শিল্পটি তার নীতিগুলিতে পরিবর্তন এনেছে এবং এখন রেসলারদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

অণ্ডারটেকারের এই প্রকাশ শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে না, বরং রেসলিং শিল্পের অতীত ও বর্তমানের মধ্যেকার পার্থক্যও তুলে ধরে। এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা ভবিষ্যতে রেসলারদের সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ প্রদানের দিকে সাহায্য করবে।

Leave a comment