দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম খো খো বিশ্বকাপ ২০২৫-এর শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারতীয় পুরুষ দল। ফাইনালে নেপালকে ৫৪-৩৬ ব্যবধানে পরাজিত করে তারা এই ঐতিহাসিক জয় অর্জন করে। ভারতীয় নারী দলও নেপালকেই পরাজিত করে বিশ্বকাপ জিতেছে।
Kho Kho World Cup 2025: দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম খো খো বিশ্বকাপ ২০২৫-এ ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছে ভারতীয় পুরুষ খো খো দল। ৫৪-৩৬ ব্যবধানে নেপালকে পরাজিত করে তারা শিরোপা জিতে নিয়েছে। পাশাপাশি, ভারতীয় নারী দলও নেপালকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ জিতেছে।
পুরুষ দলের চমৎকার জয়
অধিনায়ক প্রতীক ওয়াইকার এবং টুর্নামেন্টের তারকা খেলোয়াড় রামজি কাশ্যপের অসাধারণ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে ভারতীয় পুরুষ দল ফাইনালে নেপালকে পরাজিত করে। প্রথম টার্নেই তারা ২৬-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়, যা তাদের শুরু থেকেই শক্তিশালী অবস্থান দান করে। এরপর, নেপাল তাদের সর্বোত্তম চেষ্টা করেও ভারতীয় দলকে থামাতে পারেনি।
রামজি কাশ্যপ এবং প্রতীক ওয়াইকারের অবদান
প্রথম আক্রমণে রামজি কাশ্যপ নেপালের সূর্য পুজারাকে দারুণ স্কাইডাইভ দিয়েছিলেন, যা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর, সুয়াশ গার্গেট মাত্র চার মিনিটের মধ্যে ভারতকে ১০ পয়েন্ট এনে দেন। টার্ন ২-তে, অধিনায়ক প্রতীক ওয়াইকার এবং আদিত্য গণপুলে ম্যাচকে আরও শক্তিশালী করে তোলেন, যার ফলে দল দ্বিতীয়ার্ধে ২৬-১৮ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
ফাইনালে ভারতের চমৎকার পারফর্ম্যান্স
টার্ন ৩-তে ভারতীয় দল অসাধারণ ছন্দে খেলে, অধিনায়ক ওয়াইকার বেশ কিছু স্কাইডাইভ করেছিলেন এবং রামজি কাশ্যপের সঙ্গে মিলে দলের স্কোর ৫৪-১৮-এ নিয়ে যান। টার্ন ৪-তে নেপাল ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ভারতীয় ডিফেন্ডাররা অসাধারণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ভারত ৫৪-৩৬ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে।
ভারতীয় নারী দলেরও চমৎকার জয়
এর আগে ভারতীয় নারী দলও চমৎকার পারফর্ম্যান্স করে ৭৮-৪০ ব্যবধানে নেপালকে পরাজিত করে খো খো বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে। এই জয় ভারতীয় খো খো খেলার ইতিহাসে আরও একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত যোগ করেছে।
টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের আধিপত্য
সমগ্র টুর্নামেন্ট জুড়ে ভারত তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিল, পেরু এবং ভুটানকে পরাজিত করার পর, নকআউট পর্বে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে তারা ফাইনালে পৌঁছে।
টুর্নামেন্টে উপস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
খো খো বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক লোকসভা স্পীকার সুমিত্রা মহাজন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তাল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এছাড়াও, ওড়িশার খেলার মন্ত্রী সূর্যবংশী সূর্য, আন্তর্জাতিক খো-খো ফেডারেশনের সভাপতি সুধানশু মিত্তাল এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের যুগ্ম মহাসচিব কৃষ্ণ গোপাল এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের অংশ ছিলেন।