শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ও दिग्গজ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ তার শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, যার ফলে তার চমৎকার টেস্ট ক্যারিয়ারের অবসান ঘটেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গ্যালে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি তিনি আগেই তার বিদায়ী ম্যাচ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
খেলাধুলার খবর: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডারদের একজন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের ১৫ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ার গ্যাল টেস্টের সাথে শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ম্যাচটি ড্র হয়েছে, যার ফলে ম্যাথিউজ বিজয়ী বিদায় পাননি, তবে তার অবসর ক্রিকেট প্রেমীদের চোখে জল এনে দিয়েছে। মাঠে দলের খেলোয়াড়রা তাকে কাঁধে তুলে সম্মান জানিয়েছে, আর দর্শকরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তালি দিয়ে বিদায় দিয়েছে।
শেষ টেস্টে নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স, তবুও হৃদয়ে বসে থাকবেন ম্যাথিউজ
ম্যাথিউজ আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে গ্যালে অনুষ্ঠিত এই টেস্ট ম্যাচটি তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট হবে। কিন্তু এই ঐতিহাসিক ম্যাচে তার পারফরম্যান্স তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না।
- প্রথম ইনিংসে তিনি ৩৯ রান করে মোমিনুল হকের শিকার হন।
- দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮ রান করে তৈজুল ইসলামের কাছে আউট হন।
যদিও স্কোরবোর্ড যা বলে, তবে ম্যাথিউজের নামের আগে শুধু সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সংকটের সময় দলকে সামলেছেন, যখন সঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে এবং দিলশানের মতো दिग्गজ তারকারা দল থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।
এক মহান ক্যারিয়ার: সংখ্যায় নয়, সংগ্রামে বসবাস করে নাম
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের টেস্ট ক্যারিয়ার অত্যন্ত চমৎকার এবং অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল।
- ১১৯ টেস্ট ম্যাচ
- ৮২১৪ রান, গড়: ৪৪.৪০
- ১৬ শতক এবং ৪৫ অর্ধশতক
- মাঝে মাঝে বোলিংও করেছেন, কিন্তু তার আসল ভূমিকা ছিল মিডিল অর্ডারের মেরুদণ্ড হওয়া।
তিনি কেবলমাত্র একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানই ছিলেন না, বরং অধিনায়ক এবং সংকটমোচকের ভূমিকাতেও অসাধারণ প্রমাণিত হয়েছেন। যখন দল পড়ে যেত, ম্যাথিউজ প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতেন।
ঐতিহাসিক জয়গুলিতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন
ম্যাথিউজের ক্যারিয়ার অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী ছিল। তিনি ইন্টারভিউতে নিজেই দুটি সিরিজকে তার সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন: ২০০৪ ইংল্যান্ড সফর - শ্রীলঙ্কা প্রথমবার ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ (১-০) জিতেছিল। অধিনায়ক ছিলেন ম্যাথিউজ। ২০১৬ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজ - শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছিল এবং এই পারফরম্যান্স দীর্ঘদিন মনে রাখা হবে।
এই দুটি সিরিজেই ম্যাথিউজের নেতৃত্ব এবং পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এটি ছিল সেই সময় যখন শ্রীলঙ্কান দল তরুণ খেলোয়াড়দের সাহায্যে নিজেদের পুনর্জাগরণ করছিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সম্পূর্ণ শ্রীলঙ্কান দল মাঠে ম্যাথিউজকে কাঁধে তুলে স্টেডিয়াম ঘুরেছে। দর্শকরাও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তালির শব্দে তাকে বিদায় দিয়েছে।
ম্যাথিউজ ম্যাচের পর বলেছেন
আমি যখন থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছি, তখন থেকে আমি যে ভালোবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি, তা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। এই যাত্রা সহজ ছিল না, অনেক উত্থান-পতন এসেছে, কিন্তু দর্শক এবং দলের সমর্থন আমাকে সবসময় উৎসাহ দিয়েছে। আমি এই অসাধারণ যাত্রার জন্য কৃতজ্ঞ। এখন যখন ম্যাথিউজ টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন, তা দেখা রোমাঞ্চকর হবে যে তিনি কি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের ভূমিকা পালন করতে থাকবেন নাকি ক্রিকেট প্রশাসন, কোচিং অথবা কমেন্ট্রিতে দেখা যাবে।