মধ্যপ্রদেশ লিগে অসাধারণ ব্যাটিং করে তরুণ ব্যাটসম্যান অভিষেক পাঠক ক্রিকেটপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মাত্র ৩৩ বলে শতক হাঁকিয়ে তিনি নিজের দলকে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন।
খেলাধুলার খবর: মধ্যপ্রদেশ T20 লিগে শনিবারের দিন ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত রোমাঞ্চকর ছিল, যখন অভিষেক পাঠক বিস্ফোরক ব্যাটিং করে মাত্র ৩৩ বলে শতক হাঁকিয়েছেন। এই পারফর্ম্যান্স শুধুমাত্র দর্শকদের চমকে দেওয়াই নয়, তিনি ৩৫ বলে শতকের ভব্য সূর্যবংশীর রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন। অভিষেকের এই ইনিংস প্রমাণ করে যে প্রতিভা এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে বড় থেকে বড় কীর্তিও সম্ভব।
মাত্র ৪৮ বলে ১৩৩ রান, ৯০ রান শুধুমাত্র ছক্কায়!
বুন্দেলখন্ড বুলসের ওপেনার ব্যাটসম্যান অভিষেক পাঠক ৪৮ বলে ১৩৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন। এই তুফানী ইনিংসে তিনি ১৫টি ছক্কা এবং ৭টি চার মেরেছেন। শুধুমাত্র ছক্কা থেকেই তিনি ৯০ রান করেছেন। এমন পারফর্ম্যান্স ঘরোয়া ক্রিকেটে কমই দেখা যায়। তার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল। দ্বিতীয় ওভারেই তিনি তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন এবং তারপরে চতুর্থ ওভারে রিতেশ শাক্যের বলে ধারাবাহিকভাবে চারটি ছক্কা মেরে ম্যাচের ধারা পাল্টে দিয়েছিলেন। রিতেশ এই ম্যাচে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন, যিনি চার ওভারে ৫৩ রান দিয়েছেন।
অভিষেক তার জুটি করণ তাহেলিয়ানির সাথে প্রথম উইকেটের জন্য ১৭৮ রানের জুটি গড়েছিলেন। এই জুটি ১৩ ওভার পর্যন্ত চলে এবং এরপর অভিষেক আউট হন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি নিজের দলকে একটা শক্তিশালী স্কোর পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার উইকেট পড়ার আগেই স্কোরবোর্ডে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়ে গিয়েছিল। বুন্দেলখন্ড বুলস প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ২৪৬ রান করে, যা MPTL ইতিহাসের অন্যতম সর্বোচ্চ স্কোর।
সূর্যকুমার যাদবের কাছ থেকে শেখার ইচ্ছা
ম্যাচের পরে মিডিয়ার সাথে কথা বলে অভিষেক স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি টিম ইন্ডিয়ার তারকা এবং বর্তমান T20 অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের কাছ থেকে অত্যন্ত প্রভাবিত। তিনি বলেছেন, আমি ১৩ বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছি। আমি মধ্যপ্রদেশের U16, U19 এবং U23 দলে খেলেছি। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিও খেলেছি।
আইপিএলে এখনও পর্যন্ত খেলতে পারিনি, কিন্তু যেখানেই সুযোগ পেয়েছি সেখানেই ভালো পারফর্ম্যান্স করার চেষ্টা করেছি। আমি সূর্যকুমার যাদবের মতো ধারাবাহিকতা এবং ম্যাচ শেষ করার ক্ষমতা শিখতে চাই। তার এই চিন্তাধারা এবং পারফর্ম্যান্স ইঙ্গিত করে যে তিনি আগামী দিনে ঘরোয়া ক্রিকেটের বড় নাম হতে পারেন।
১৯ রানে জয়
জবাবে জবলপুর রয়্যাল লায়ন্সও ভালো চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা ২২৭ রানে অলআউট হয়েছে এবং ম্যাচটি ১৯ রানে বুন্দেলখন্ড বুলসের পক্ষে চলে গেছে। জবলপুরের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞ অগ্রবাল তিন ওভারে ৪৩ রান দিয়েছে এবং উইকেট নিতে ব্যর্থ হয়েছে। রবিবার লিগ স্টেজের শেষ দুটি ম্যাচ খেলা হয়েছে, যার পর পয়েন্ট টেবিলে অনুযায়ী ২৩ জুন দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল ম্যাচ মঙ্গলবার, ২৪ জুন গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হবে।