আইপিএল ২০২৫ পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও, এই সময়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি)-এর জন্য একটি বড় ধাক্কা আসতে পারে। দলের ফাস্ট বোলার জশ হেজেলউডের আইপিএলে খেলা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
খেলাধুলার খবর: আইপিএল ২০২৫-এর দ্বিতীয় পর্বের ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়ছে, কিন্তু তার আগেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি) একটি বড় ধাক্কা পেতে পারে। দলের তারকা ফাস্ট বোলার জশ হেজেলউডের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, যার ফলে তার খেলায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আসলে, হেজেলউড কাঁধ এবং পার্শ্বীয় টানের চোটে ভুগছেন, এবং পাশাপাশি পরবর্তী মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ফাইনালেও তার দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে।
জশ হেজেলউডের চোট আরসিবি-এর জন্য বড় উদ্বেগ
আইপিএল ২০২৫-এর মৌসুম এখন আবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু তার আগেই জশ হেজেলউডের ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ৩ মে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে আরসিবি-এর ঘরোয়া ম্যাচে হেজেলউড কাঁধের চোটের কারণে খেলতে পারেননি। সে সময় তার কাঁধে গুরুতর চোটের ইঙ্গিত ছিল, যার পর থেকেই তার ফিরে আসা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
যখন টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়েছিল, তখন আরসিবি আশা করেছিল যে হেজেলউড শীঘ্রই ফিট হয়ে উঠবেন, কিন্তু তার চোট গুরুতর এবং এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগতে পারে। এছাড়াও, জুন মাসে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলতে হবে, এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এই সময় কোনও ধরণের ঝুঁকি নিতে চাইবে না। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, জশ হেজেলউড কি আরসিবি দলের পক্ষে আইপিএল ২০২৫-এর বাকি ম্যাচগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন?
আইপিএলের বিদেশি খেলোয়াড়দের ফিরে আসা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে
আইপিএল ২০২৫-এর দ্বিতীয় পর্বের শুরু হওয়ার সাথে সাথে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে, তা হল বিদেশি খেলোয়াড়দের উপলব্ধতা। আইপিএল ২০২৫ শুরু হওয়ার আগে অনেক বিদেশি খেলোয়াড়কে তাদের আন্তর্জাতিক দায়িত্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক এবং ট্রাভিস হেড। এই তিনজন খেলোয়াড়কেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য তাদের দলের প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্যাট কামিন্সের ফিরে আসা নিয়ে এখনও কোন স্পষ্টতা নেই। তিনি বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালসের সদস্য, এবং তার দলের এখনও প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেখার বিষয় হল, কামিন্স কি আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ফিরে আসবেন, নাকি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতির জন্য আইপিএল থেকে দূরে থাকবেন।
মিচেল স্টার্কের ক্ষেত্রেও একই রকম পরিস্থিতি। তিনি দিল্লি ক্যাপিটালস দলে রয়েছেন এবং বর্তমানে তাদের দলের প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। স্টার্কের জন্য আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে খেলা কঠিন হতে পারে কারণ তিনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
অন্যদিকে, ট্রাভিস হেডের ফিরে আসা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সদস্য, কিন্তু তাদের দল ইতিমধ্যেই প্লে-অফ থেকে বাদ পড়েছে। তবে, হেডের জন্য আইপিএলে ফিরে আসা কিছুটা সহজ হতে পারে, কিন্তু তবুও তাকে তার প্রস্তুতিগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বিসিসিআই-এর চ্যালেঞ্জ
বিসিসিআইকেও এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হতে পারে, যেখানে বিদেশি খেলোয়াড়দের উপলব্ধতা একটি বড় প্রশ্ন হয়ে উঠতে পারে। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার আগে বিসিসিআইকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে বিদেশি খেলোয়াড়রা ফিরে আসবে এবং ভারতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিসি ফাইনালের সাথে তাদের ব্যস্ততাও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
এছাড়াও, দেখার বিষয় হল বিদেশি খেলোয়াড়রা কতক্ষণ আইপিএল ২০২৫-এর দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করবেন, কারণ তাদের দ্বারা প্রদান করা সেবা দলগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।