আইপিএল ২০২৫-এর ২৬তম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ১৮০ রান করে গুজরাট টাইটান্স। শুভমন গিল ও সাই সুদর্শনের দুর্দান্ত শুরু ছিল পাল্লায়।
খেলাধুলার খবর: আইপিএল ২০২৫-এর ২৬তম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স প্রথমে ব্যাটিং করে ১৮০ রান করেছে। শুভমন গিল ও সাই সুদর্শনের দুর্দান্ত শুরুর পর মনে হচ্ছিল গুজরাট ২০০-র ঘর ছাড়িয়ে যাবে সহজেই। তবে, লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলাররা মিডিল অর্ডারে চমৎকার বোলিং করেছে। দুই ওপেনার ছাড়া অন্য কোনও ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে পারেনি, ফলে গুজরাটের স্কোর ১৮০ রানেই সীমাবদ্ধ থাকে।
গিল-সুদর্শনের ঝড়, তারপর হঠাৎ নীরবতা
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে গুজরাটের শুরুটা ছিল অসাধারণ। শুভমন গিল ও সাই সুদর্শন প্রথম উইকেটের জন্য মাত্র ১২.৫ ওভারে ১২০ রান যোগ করে। গিল ৩৮ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৬০ রান করেন, অন্যদিকে সুদর্শন ৩৭ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৬ রানের দ্রুততম ইনিংস খেলেন।
কিন্তু আবেশ খান গিলকে আউট করার সাথে সাথেই গুজরাটের ব্যাটিং ঝুঁকে পড়ে। পরের ওভারেই রবি বিষ্ণোই সুদর্শনকে প্যাভিলিয়নে পাঠান এবং সেখান থেকেই লখনউ ম্যাচে চাপ বাড়াতে শুরু করে।
মিডিল অর্ডারের ব্যর্থতা
দুর্দান্ত শুরু সত্ত্বেও গুজরাটের ইনিংস দ্রুত ফিকে হয়ে পড়ে। ওয়াশিংটন সুন্দর মাত্র ২ রান করে ফিরে যান, অন্যদিকে জোস বটলারের কাছে প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু তিনিও ১৬ রান করে দিগ্বেশ সিংহর শিকার হন। শেরফেন রাদারফোর্ড ২২ রান করে কিছুটা টিমকে সামলে রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু রাহুল তেওয়াতিয়া একটি রানও করতে পারেননি।
২০তম ওভারে শার্দুল ঠাকুর দুটি ধারাবাহিক উইকেট নিয়ে গুজরাটের আশায় জল ঢেলে দেন। শেষ ওভারে যদিও প্রথম শট ছিল ছক্কা, কিন্তু এর পরে তিনি মাত্র ১১ রান খরচ করে এবং ২ উইকেটও নেন।
বোলিংয়ে লখনউয়ের প্রত্যাবর্তন ছিল বিশেষ
লখনউয়ের বোলাররা মিডিল ওভারগুলিতে যে ধরণের শৃঙ্খলা দেখিয়েছে তা প্রশংসনীয়। দিগ্বেশ সিংহ সবচেয়ে সাশ্রয়ী ছিলেন, যিনি ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। শার্দুল ঠাকুর ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন, অন্যদিকে রবি বিষ্ণোইও ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। আবেশ খানও ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। যদিও এডেন মার্ক্রাম ব্যয়বহুল ছিলেন এবং তার একমাত্র ওভারে ১৫ রান হয়।
