ইউনুসের পদত্যাগের চিন্তা পরিত্যাগ, জরুরি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত

ইউনুসের পদত্যাগের চিন্তা পরিত্যাগ, জরুরি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত
সর্বশেষ আপডেট: 24-05-2025

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রধান মোহাম্মদ ইউনুস রাজনৈতিক চাপ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পদত্যাগের কথা বিবেচনা করেছিলেন। কিন্তু জরুরি বৈঠকের পর তিনি পদে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিরোধী দলগুলির সাথেও আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশ: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন বড় রাজনৈতিক ঝড় চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান (প্রধান উপদেষ্টা) মোহাম্মদ ইউনুসের পদত্যাগের খবরে দেশের রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। যদিও শনিবার ডাকা জরুরি বৈঠকের পর একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে – ইউনুস এখনই পদত্যাগ করবেন না। রাজনৈতিক দল, সেনা ও প্রশাসনের মধ্যে বর্ধমান অস্বস্তি পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে, এমন সময়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পদত্যাগের আলোচনার মধ্যে ইউনুসের বড় সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার রাতে ইউনুস ছাত্র নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (NCP)-এর নেতাদের সাথে আলোচনায় বলেছিলেন যে, তিনি পদত্যাগের কথা বিবেচনা করছেন। তিনি বলেছিলেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক ও সামরিক চাপের কারণে কাজ করা কঠিন হয়ে উঠেছে। এর আগে দিনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তিনি তার পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

কিন্তু শনিবারের জরুরি বৈঠকে ইউনুস তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন যে ইউনুসের পদত্যাগ করার কোনো ইচ্ছা নেই। তিনি বলেছেন,

"ইউনুস সাহেব পদত্যাগের কোন কথা বলেননি। তিনি তার পদে থাকবেন এবং আমরা সবাই আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব।"

এই বক্তব্যের পর ইউনুসের পদত্যাগের আলোচনায় সাময়িক বিরতি পড়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক সংকট শেষ হয়নি।

কেন জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল?

শনিবার অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল – রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জের সমাধান খোঁজা। ইউনুস তার উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন যে, সেনা ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বর্ধমান মতবিরোধের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়। সূত্র মতে, ইউনুস মনে করেছেন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐকমত্য না হওয়ার কারণে কাজে সমস্যা হচ্ছে।

বৈঠকের পর স্পষ্ট হয়েছে যে ইউনুস এখনও তার পদে থাকবেন। কিন্তু এটাও স্পষ্ট যে, যদি রাজনৈতিক দলগুলির সাথে সমঝোতা না হয়, তাহলে এই অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।

ইউনুসের উপর বর্ধমান চাপ: বিরোধী দলগুলির কৌশল

ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) এবং জামায়াত-ই-ইসলামী-র মতো প্রধান বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত সরকারের উপর আক্রমণ করছে। ইউনুসের পদত্যাগের আলোচনাও এই চাপের কারণে তীব্র হয়ে উঠেছিল।

শনিবার ইউনুসের বিএনপি এবং জামায়াত-ই-ইসলামীর নেতাদের সাথে বৈঠকের কথাও ছিল। বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সন্ধ্যায় ৭ টায় ইউনুসের সাথে দেখা করার কথা ছিল, অন্যদিকে জামাতের নেতারা রাত ৮ টায় দেখা করার কথা ছিল। এই বৈঠকগুলির উদ্দেশ্য ছিল – রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করা এবং ঐকমত্য স্থাপনের চেষ্টা করা।

Leave a comment