UNSC-তে পাকিস্তানের অপমান: পুলওয়ামা হামলার জন্য তীব্র সমালোচনা

UNSC-তে পাকিস্তানের অপমান: পুলওয়ামা হামলার জন্য তীব্র সমালোচনা
সর্বশেষ আপডেট: 06-05-2025

UNSC-তে পাকিস্তানের অপমান, পুলওয়ামা হামলার জন্য আমেরিকা-ফ্রান্সের ঘেরাও, চীনও সহায়তা করেনি। ভারতকে আন্তর্জাতিক সমর্থন, পাকিস্তানের বক্তব্য খণ্ডিত।

UNSC সদস্যরা: পুলওয়ামায় হওয়া সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) একটি গোপন বৈঠক ডেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করে। পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল নিজেকে ভুক্তভোগী বলে চালিয়ে ভারতের উপর বিশ্বব্যাপী চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, কারণ বৈঠকে পাকিস্তানের তীব্র অপমান হয় এবং ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়।

UNSC-এর স্থায়ী সদস্যরা পাকিস্তানকে ঘেরাও করে

বৈঠককালীন আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং ব্রিটেনের মতো স্থায়ী সদস্যরা পাকিস্তানের কাছে তীব্র প্রশ্ন তোলে। এই দেশগুলি বিশেষ করে পুলওয়ামা হামলায় লস্কর-ই-তৈয়বাঁর মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তোলে এবং পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

চীনও সহায়তা করেনি

পাকিস্তান সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় যখন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচিত চীন এই বিষয়ে নীরব থাকে। পাকিস্তান আশা করেছিল চীন অন্তত তার পক্ষ নেবে, কিন্তু চীন কোনো সহায়তা দেয়নি, যার ফলে পাকিস্তানের অবস্থা আরও দুর্বল হয়।

পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচার উন্মোচিত

বৈঠকের পর পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতেখার আহমদ দাবি করেন যে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে এবং পাকিস্তান যে উদ্দেশ্যে বৈঠক ডেকেছিল তা পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক সূত্রের মতে বৈঠকে পাকিস্তানের মিথ্যা বক্তব্য এবং 'ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন'-এর দাবি সম্পূর্ণরূপে খণ্ডিত হয়।

কোনও দেশই প্রস্তাব বা সমর্থন দেয়নি

বৈঠকের পর কোনও দেশের পক্ষ থেকে কোনও প্রস্তাব আসেনি এবং পাকিস্তানের পক্ষে কোনও সরকারি বিবৃতিও জারি করা হয়নি। শুধুমাত্র পাকিস্তান বৈঠকের ফলাফল বিকৃত করে তুলে ধরেছে।

পরমাণু হুমকির উপরও প্রশ্ন উঠেছে

বৈঠকে পাকিস্তান কর্তৃক সম্প্রতি করা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং পরমাণু অস্ত্রের হুমকির বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এটিকে অনেক দেশ আঞ্চলিক শান্তির জন্য বিপজ্জনক এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে।

ভারতকে আন্তর্জাতিক সমর্থন

বৈঠকে অধিকাংশ দেশ স্পষ্ট করেছে যে ভারত-পাকিস্তানের ইস্যু দ্বিপাক্ষিক এবং এতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। এতে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়।

Leave a comment