আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা জোট ফাইভ আইজ (Five Eyes) থেকে বের করে দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন।
ওয়াশিংটন: আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা জোট ফাইভ আইজ (Five Eyes) থেকে বের করে দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন। যদি এমনটা হয়, তাহলে এটি জাস্টিন ট্রুডো সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে। ফাইভ আইজ জোট আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের একটি বিশেষ ব্যবস্থা, যা বিশ্বব্যাপী সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
ফাইভ আইজ থেকে কানাডার সম্ভাব্য বিদায় কেন?
আমেরিকান সংবাদপত্র ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনের মতে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা পিটার নাভারো ইঙ্গিত করেছেন যে, যদি ট্রাম্প আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি কানাডার উপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করার জন্য এটি এই জোট থেকে বের করে দিতে পারেন। সূত্র মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের ধারণা, কানাডার সাম্প্রতিক বিদেশ নীতি এবং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর খালিস্তান ইস্যুতে অবস্থান আমেরিকার স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
বিশেষ করে, ভারতে খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সাথে জড়িত গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে ট্রুডো সরকারের বক্তব্য আমেরিকা-কানাডা সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। আমেরিকা আশঙ্কা করছে যে কানাডার গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ফাঁস হতে পারে অথবা জোটের সংবেদনশীল তথ্যের ভুল ব্যবহার হতে পারে।
ফাইভ আইজ থেকে বের হওয়ার কি হবে প্রভাব?
* দুর্বল গোয়েন্দা ব্যবস্থা: ফাইভ আইজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার ফলে কানাডা আতঙ্কবাদ, সাইবার আক্রমণ এবং আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বিপদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে অসুবিধার সম্মুখীন হবে।
* আমেরিকা-কানাডা সম্পর্কে উত্তেজনা: এই সিদ্ধান্ত আমেরিকা-কানাডার কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
* বিশ্বব্যাপী বিচ্ছিন্ন হতে পারে কানাডা: যদি ফাইভ আইজ থেকে বের করে দেওয়া হয়, তাহলে অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলির সাথে কানাডার সুরক্ষা সহযোগিতার উপরও প্রভাব পড়বে।
কানাডার প্রতিক্রিয়া এবং ট্রুডো সরকারের কৌশল
ট্রুডো সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে বিরত আছে, কিন্তু কূটনৈতিক মহলে এ নিয়ে চর্চা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে এই বিষয়টি একটি প্রধান বিবাদ হিসেবে উঠে আসতে পারে। কানাডা এখন নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে যে আমেরিকার সাথে তার সম্পর্ক দৃঢ় থাকে এবং তাকে এই জোট থেকে বের করা হয় না। এর জন্য ট্রুডো সরকার কূটনৈতিক পর্যায়ে আমেরিকার সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।