ওয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, "আমি চাই যোগ্য ব্যক্তিরা আমেরিকায় আসুক। আমি নিজেও H-1B ভিসা ব্যবহার করেছি, আমি এটা বন্ধ করতে চাই না।"
H1B ভিসা: আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কার্যকালে অনেক অভিবাসন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যার মধ্যে জন্মগত অধিকারে নিষেধাজ্ঞা এবং অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত। এই সময়ে H-1B ভিসা নিয়েও অনেক জল্পনা ছিল। তবে, সম্প্রতি ট্রাম্পের বক্তব্য ভারতীয় পেশাদারদের জন্য স্বস্তির। ট্রাম্প ওয়াইট হাউসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে তিনি H-1B ভিসার সমর্থক এবং তিনি চান যোগ্য ব্যক্তিরা আমেরিকায় আসুক।
H-1B ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য
মঙ্গলবার ওয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেছিলেন, "আমি চাই যোগ্য ব্যক্তিরা আমাদের দেশে আসুক। আমি নিজেও এই প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছি, তাই আমি এটা বন্ধ করতে চাই না।" ট্রাম্প আরও বলেছিলেন যে তিনি শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারদের কথা বলছেন না, বরং সকল স্তরের যোগ্য ব্যক্তিদের স্বাগত জানান।
মাস্ক ও অন্যদের সমর্থন
এর আগে টেসলার সিইও এলন মাস্কও H-1B ভিসার সমর্থন করেছিলেন। ট্রাম্প বলেছিলেন যে অ্যারাকলের সিটিও ল্যারি এলিসন এবং নাসা-র মতো সংস্থাগুলির ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন, এবং তিনি যোগ্য ব্যক্তিদের আমেরিকায় স্বাগত জানান। তবে, ট্রাম্পের কিছু সমর্থক মনে করেন যে বিদেশি পেশাদারদের কারণে আমেরিকান নাগরিকদের চাকরি পাওয়া কঠিন হচ্ছে।
H-1B ভিসার নিয়মে পরিবর্তন
ভারতীয় পেশাদাররা H-1B ভিসা থেকে অনেক উপকৃত হয় এবং লক্ষ লক্ষ ভারতীয় এই ভিসার মাধ্যমে আমেরিকায় কাজ করছে। সম্প্রতি কিছু পরিবর্তনের খবর এসেছে, যাতে H-1B ভিসার নিয়মে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন
নির্বাচনী লটারি পদ্ধতি: এখন কঠোর ব্যবস্থার মাধ্যমে সংস্থাগুলি একাধিক বৃহৎ আকারের আবেদন জমা করতে পারবে না, যার ফলে প্রক্রিয়া আরও ন্যায়সঙ্গত হবে।
F-1 ভিসাধারী শিক্ষার্থীদের সুবিধা: আমেরিকান শিক্ষার্থীরা এখন সহজেই F-1 ভিসা থেকে H-1B ভিসায় রূপান্তর করতে পারবে, যার ফলে তাদের কাজ করতে কম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
বিশেষ পেশায় পরিবর্তন: কিছু বিশেষ পদ পূরণের জন্য স্নাতক ডিগ্রির প্রয়োজন হবে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি ছাড়াও প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে, যদি তাদের যোগ্যতা চাকরির সাথে সম্পর্কিত হয়।