ট্রাম্প ভারতের উপর ২৭% ট্যারিফ আরোপের ঘোষণা দিলেন, যা আগে ঘোষিত ২৬% এর চেয়ে বেশি। ভারত সরকার এই প্রভাবের বিশ্লেষণ করছে এবং আমেরিকার সাথে আলোচনা চলছে।
ট্রাম্প ট্যারিফ: আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল ‘লিবারেশন ডে’ বলে উল্লেখ করে বিভিন্ন দেশের উপর ছাড়যুক্ত পারস্পরিক ট্যারিফ আরোপের ঘোষণা দেন। প্রাথমিকভাবে ভারতের উপর ২৬% ট্যারিফ আরোপের কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু এখন হোয়াইট হাউসের নতুন সংযোজনীতে এই হার ২৭% বলা হয়েছে। ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেছেন যে ভারত আমেরিকা থেকে ৫২% ট্যারিফ আদায় করে, তাই আমরা তাদের উপর তার অর্ধেক শুল্ক আরোপ করব।
হোয়াইট হাউসের তালিকা এবং নতুন তথ্য প্রকাশ
ট্রাম্প মিডিয়াকে সম্বোধন করে ভারতের উপর ২৬% ট্যারিফের তালিকা প্রদর্শন করেছিলেন, কিন্তু পরে প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক সংযোজনীতে এটিকে ২৭% করা হয়েছে। এর অর্থ হল ট্রাম্প প্রশাসন এই ট্যারিফ নীতি নিয়ে নমনীয়তা বজায় রেখেছে এবং আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রেখেছে।
ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে আলোচনা চলছে
ভারত ইতোমধ্যেই আমেরিকার সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (Bilateral Trade Agreement) নিয়ে আলোচনা করছে। উভয় দেশের লক্ষ্য এই বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে চুক্তির প্রথম পর্যায়ে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া। ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন ট্যারিফের পর ভারত সরকারের অবস্থান নিয়ে ঘনিষ্ঠ নজর রাখা হচ্ছে।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া
ভারত সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মতে, আমেরিকার ট্যারিফের সম্পূর্ণ প্রভাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্বারা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন:
- আমেরিকার সার্বজনীন ১০% ট্যারিফ ৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
- অতিরিক্ত ১৬% ট্যারিফ ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
- যদি কোনও দেশ ট্যারিফ সংক্রান্ত উদ্বেগ আমেরিকার কাছে তুলে ধরে, তাহলে ট্রাম্প প্রশাসন ট্যারিফের হার কমাতে পারে।
ট্রাম্পের বক্তব্য: ‘মোদী আমার ভালো বন্ধু, কিন্তু…’
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উল্লেখ করে বলেছেন যে মোদী আমেরিকার সফরে এসেছিলেন এবং উভয় নেতার মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ট্রাম্প বলেছেন, ‘মোদী আমার ভালো বন্ধু, কিন্তু ভারত সবসময় আমেরিকা থেকে ৫২% ট্যারিফ আদায় করে, যা যুক্তিসঙ্গত নয়।’