ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই পাকিস্তান ‘আবদালী’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম।
Pakistan Tests Abdali Ballistic Missile: ২০২৫ সালের ৩ মে পাকিস্তান স্থল থেকে স্থলে আঘাত হানতে সক্ষম ‘আবদালী’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে, যার পরিসীমা ৪৫০ কিলোমিটার। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর কার্যকরী প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও গতিশীলতা পরীক্ষা করা।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মতে, এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি পরীক্ষা করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিক নেভিগেশন সিস্টেম পরীক্ষা করা। এই পরীক্ষাটি আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (ASFC)-এর অধীনে সম্পাদিত হয়েছিল।
‘এক্সারসাইজ ইন্ডাস’-এর অধীনে পরীক্ষা
এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি ‘এক্সারসাইজ ইন্ডাস’ নামক সামরিক অনুশীলনের সময় সম্পাদিত হয়েছিল। এতে ASFC-এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহবাজ খান এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান্স ডিভিশনের ডিজি মেজর জেনারেল শাহরিয়ার পারভেজ বুট উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের সাথে উত্তেজনার প্রভাব
এই পরীক্ষাটি এমন সময়ে হয়েছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগামে হওয়া সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য ক্রমাগত NOTAM (Notice to Airmen) জারি করছে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিরক্ষা অবস্থা
ভারত পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘উস্কানিমূলক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছে। সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, যখন পাকিস্তান রয়েছে দ্বাদশ স্থানে। SIPRI-এর প্রতিবেদনের মতে, ভারতের সামরিক ব্যয় পাকিস্তানের চেয়ে প্রায় ৯ গুণ বেশি।
ক্ষেপণাস্ত্রের প্রধান তথ্য
- ক্ষেপণাস্ত্রের নাম: আবদালী (Hatf-II)
- প্রকার: স্থল থেকে স্থলে আঘাত হানতে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র
- পরিসীমা: ৪৫০ কিলোমিটার
- পরীক্ষার স্থান: সোনমিয়ানি রেঞ্জ
- পরীক্ষার উদ্দেশ্য: কার্যকরী প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত যাচাই
