ইসরাইলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জনসাধারণের ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুরক্ষা কর্মকর্তাদের বরখাস্ত এবং যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার অভিযোগের জেরে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে, যার ফলে সরকারের উপর সংকট গভীর হয়ে উঠেছে।
Israel Protests: ইসরাইলে প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জনসাধারণের রোষ বেড়েই চলেছে। গাজায় যুদ্ধ পুনরায় শুরু করা এবং শীর্ষ সুরক্ষা কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার ঘটনার ফলে দেশজুড়ে ব্যাপক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে তার পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছে। এর আগে, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও একই ধরণের বিক্ষোভ হয়েছিল, যার ফলে প্রশ্ন উঠেছে ইসরাইলে কি সরকার পরিবর্তনের বাতাস বইছে?
যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় জনসাধারণের অসন্তোষ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর নেতানিয়াহু সরকার আবারও বোমা হামলা শুরু করেছে, যখন এখনও ৫৯ জন বন্দী হামাসের দখলে আছে। এর মধ্যে প্রায় ২৪ জনের জীবিত থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে। যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় এই বন্দীদের নিরাপত্তার উপরও হুমকি বিরাজ করছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু রাজনৈতিক সুবিধার জন্য যুদ্ধকে অযথা দীর্ঘায়িত করছেন এবং দেশের নিরাপত্তার সাথে চেখাছাড়া করছেন।
সুরক্ষা কর্মকর্তাদের বরখাস্তের ফলে অসন্তোষ বৃদ্ধি
সম্প্রতি নেতানিয়াহু সরকার ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের প্রধান রোনান বার এবং অ্যাটর্নি জেনারেল গ্যালি বহারভ-মিয়াড়াকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রাক্তন সামরিক ও সুরক্ষা কর্মকর্তাদের একটি দল ‘ডিফেন্সিভ শিল্ড ফোরাম’ এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে। অনেক বিক্ষোভকারীর দাবি, এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি এবং নেতানিয়াহু সत्ताকে সুদৃঢ় করার জন্য একনায়কতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
সড়কে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ
মঙ্গলবার রাতে রাজধানী যিহুদিয়ায় হাজার হাজার মানুষ সড়কে নেমে আসে। বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলি পতাকা ও হলুদ ব্যানার উত্তোলন করে এবং রাজধানীর দিকে অগ্রসর হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রধান মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় এবং বিক্ষোভকারীদের উপর জলের ছিটানি ছোঁড়ে। অনেক স্থানে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যার ফলে কমপক্ষে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
নেতানিয়াহুর সরকারের উপর সংকটের মেঘ
ইসরাইলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ নতুন কিছু নয়, কিন্তু এবার জনসাধারণের ক্ষোভ সংগঠিত ও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত এবং এখন সুরক্ষা ও বিচার ব্যবস্থাকে দুর্বল করার তার সিদ্ধান্তের ফলে তার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়, তাহলে নেতানিয়াহুকে পদত্যাগ করতে হতে পারে অথবা তার সরকার পতন হতে পারে।