প্রধানমন্ত্রী মোদীর শ্রীলঙ্কা সফরে রাষ্ট্রপতি দিসানায়কে ভারতের নিরাপত্তার সমর্থন করেছেন। মোদী “মিত্র ভূষণ” পেয়েছেন এবং ভারত-শ্রীলঙ্কা-সংযুক্ত আরব আমিরাত ত্রিপাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সফরে ছিলেন। কলম্বোতে তাঁর শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিসানায়কের সাথে সাক্ষাত হয়। এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করা, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদার করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ভারতের নিরাপত্তার জন্য শ্রীলঙ্কার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর রাষ্ট্রপতি দিসানায়কে স্পষ্ট করেছেন যে, ভারতের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে বা আঞ্চলিক ভারসাম্য নষ্ট করার জন্য শ্রীলঙ্কার ভূমি কখনোই ব্যবহার করা হবে না। এই বক্তব্য দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে উল্লেখযোগ্যভাবে তুলে ধরে।
সামুদ্রিক সীমান্তে সহযোগিতার নতুন অধ্যায়
রাষ্ট্রপতি দিসানায়কে জাতিসংঘ মহাসাগর কমিশনের অধীনে শ্রীলঙ্কার দাবির বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চেয়েছেন। এই সহযোগিতা শ্রীলঙ্কার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (EEZ) এর বাইরে সামুদ্রিক অধিকার জোরদার করার প্রেক্ষিতে, যার ফলে দুই দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ আরও ভালোভাবে সমন্বয়িত হবে।
শ্রীলঙ্কাকে ভারতের সমর্থন
ডিজিটাল অর্থনীতির বিষয়ে শ্রীলঙ্কা ভারতের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহযোগিতার প্রশংসা করেছে। রাষ্ট্রপতি দিসানায়কে ভারত সরকার কর্তৃক শ্রীলঙ্কার ডিজিটাল পরিচয় প্রকল্পের জন্য ৩০০ কোটি টাকার অবদানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে এই সহযোগিতা শ্রীলঙ্কার উদ্ভাবনী যাত্রাকে গতি দেবে।
ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্কের সাংস্কৃতিক গভীরতা
রাষ্ট্রপতি দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের স্মরণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক কেবলমাত্র কূটনীতির নয়, বরং সাধারণ সভ্যতা, ঐতিহ্য এবং ধর্মেরও, যা শতাব্দী ধরে দুটিকে একত্রে ধরে রেখেছে।
