মিয়ানমারে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প, ব্যাংককেও অনুভূত কম্পন। ভবন কাঁপল, আতঙ্কে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ল। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সগাইং অঞ্চলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও।
Myanmar Earthquake: মঙ্গলবার মিয়ানমারে প্রবল ভূমিকম্পের আঘাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে মানুষ বাড়িঘর ও অফিস থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়। জাতীয় ভূতত্ত্ববিদ্যা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.২।
ব্যাংককেও অনুভূত ভূমিকম্পের কম্পন
মিয়ানমারে আঘাত হানা এই প্রবল ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও। সেখানকার উঁচু ভবনগুলি কম্পনের কারণে দোল খেতে শুরু করে, যার ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষ ভয়ে ভবন থেকে বেরিয়ে পড়ছে।
ভূমিকম্পে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
ভূমিকম্পের ফলে ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধ্বসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের মতে, ভূমিকম্পের কম্পন সহ্য করতে না পেরে ভবনটি ধ্বসে পড়ে। এছাড়াও, মিয়ানমারের বেশ কিছু শহরে কিছু ভবনে ফাটল দেখা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ত্রাণ কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
ভূতত্ত্ববিদরা জানালেন ভূমিকম্পের কারণ
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের দক্ষিণ উপকূলের সগাইং অঞ্চলের কাছে। জার্মানির GFZ ভূতত্ত্ব কেন্দ্রের মতে, ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে হয়েছিল, যার ফলে এর প্রভাব বেশি অনুভূত হয়েছে।
বারবার কেন আসে ভূমিকম্প?
পৃথিবীর উপরিতল সাতটি প্রধান টেকটোনিক প্লেট দিয়ে গঠিত, যা সর্বদা গতিশীল। যখন এই প্লেটগুলি পরস্পরের সাথে সংঘর্ষ হয়, ঘষা খায় বা একে অপরের উপরে উঠে আসে, তখন ভূমিকম্প হয়। মিয়ানমার এবং আশেপাশের এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে এ ধরণের ঘটনা বারবার ঘটে।
কিভাবে মাপা হয় ভূমিকম্পের তীব্রতা?
রিখটার ম্যাগনিটুড স্কেলের মাধ্যমে ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা হয়। এই স্কেল ১ থেকে ৯ পর্যন্ত হয়, যেখানে ১ সবচেয়ে দুর্বল এবং ৯ সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পকে নির্দেশ করে। যদি ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭ বা তার বেশি হয়, তাহলে ৪০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়।