লস্কর-ই-তৈয়বার নেপাল মডিউল প্রধান সৈফুল্লাহ খালিদের হত্যা

লস্কর-ই-তৈয়বার নেপাল মডিউল প্রধান সৈফুল্লাহ খালিদের হত্যা
সর্বশেষ আপডেট: 19-05-2025

সৈফুল্লাহ পাকিস্তানে লস্করের জন্য সন্ত্রাসীদের ভর্তি করত। অপারেশন সিন্দুরের পর পাক আর্মি ও ISI লস্করের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে সৈফুল্লাহকে বাড়ির বাইরে কম বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

পাকিস্তান: লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসী সৈফুল্লাহ খালিদ, যাকে আবু সৈফুল্লাহ নামেও জানা যায়, রবিবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার লাশ পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো হয় এবং তার জানাজা পড়ানো হয়, যেখানে লস্করের অনেক সন্ত্রাসী উপস্থিত ছিল। সৈফুল্লাহ লস্করের নেপাল মডিউলের প্রধান ছিলেন এবং তিনি সন্ত্রাসীদের ভর্তির (Recruitment) কাজ করতেন।

সৈফুল্লাহর সন্ত্রাসী সংযোগ

সৈফুল্লাহ পাকিস্তানে থেকে লস্করের জন্য সন্ত্রাসীদের ভর্তি করত। তিনি ২০০৬ সালে RSS মুখ্যালয়ের ওপর হামলার মাস্টারমাইন্ডও ছিলেন। অপারেশন সিন্দুরের পর পাকিস্তানে লস্করের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর অধীনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও ISI লস্করের সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে, যাতে তারা বেশি চলাচল না করে এবং বাইরে বেশি না যায়।

সৈফুল্লাহকেও এই আদেশ মেনে চলতে হয়েছিল এবং তাই তাকে বাড়ির বাইরে কম বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তার হত্যা সমগ্র সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ককে কাঁপিয়ে তুলেছে।

অপারেশন সিন্দুরের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

অপারেশন সিন্দুর ভারতের একটি বড় সামরিক অভিযান ছিল, যেখানে মুরিদকে লস্করের প্রধান ঘাঁটি লক্ষ্য করা হয়েছিল। এই অভিযানে লস্করের ঘাঁটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল। এর পর পাকিস্তানে লস্করের প্রধান সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়, কারণ পাকিস্তান আর্মি ও ISI ভারতের অভিযানের ভয়ে ছিল।

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে লস্করের অনেক বড় সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাফিজ সঈদের ঘনিষ্ঠ এবং ইন্ডিয়ার সর্বাধিক ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী আবু কাতাল, হঞ্জলা আদনান এবং রিয়াজ আহমেদ উর্ফে আবু কাসিমের হত্যা। এই সকল হত্যাকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সংঘাতের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

হাফিজ সঈদ এবং তার ঘনিষ্ঠদের বাড়ন্ত সমস্যা

লস্করের প্রধান হাফিজ সঈদের অনেক ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসী পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে নিহত হয়েছে। সম্প্রতি লাহোরে হাফিজ সঈদের বাড়ির কাছে ফিদায়ী হামলা হয়েছিল, যেখানে তিনি बाल-বাল বেঁচে গেছেন। এই ঘটনাগুলি দেখায় যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

হাফিজ সঈদের ছেলে তালহা সঈদ সহ সর্বাধিক ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের এখন বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের আর্মি ও ISI সেই সন্ত্রাসীদের কম চলাচল করার নির্দেশ দিয়েছে যাতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

সৈফুল্লাহর হত্যার সন্ত্রাসবাদে প্রভাব

সৈফুল্লাহর হত্যা লস্করের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ককে ধাক্কা দিয়েছে। তিনি নেপাল মডিউলের প্রধান ছিলেন, যা ভারত ও নেপালের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করত। তার মৃত্যুর ফলে এই অঞ্চলে লস্করের কর্মকাণ্ডের ওপর প্রভাব পড়বে।

এছাড়াও, বেশ কয়েকজন বড় সন্ত্রাসীর ধারাবাহিক হত্যার ফলে লস্করের অবস্থা দুর্বল হচ্ছে, যা ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে অনেক সাহায্য করছে। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র হচ্ছে।

Leave a comment