জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনার আলোচনা

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনার আলোচনা
সর্বশেষ আপডেট: 05-05-2025

সোমবার অনুষ্ঠিতব্য UNSC বৈঠক ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই সীমান্তবর্তী উত্তেজনার উপর তাদের মতামত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরার সুযোগ দিবে। পরিষদের অধ্যক্ষ আতঙ্কবাদ নিন্দা করেছেন এবং আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

UNSC বৈঠক: আজ সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)-এর একটি বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্ধমান সীমান্ত উত্তেজনার বিষয়ে আলোচনা হবে। পাকিস্তানের অনুরোধক্রমে এই বৈঠকটি আয়োজিত হচ্ছে এবং এতে উভয় দেশই আন্তর্জাতিক বেদীতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের সুযোগ পাবে। বিশেষ করে, পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলার পরবর্তী পরিস্থিতির উপর এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।

পাকিস্তানের অবস্থান: ভারতের উপর আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ

পাকিস্তান এই বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছে। পাকিস্তানের দাবি, ভারতের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড, উসকানি ও প্ররোচনামূলক বক্তব্য আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

পাকিস্তান বিশেষ করে ভারত কর্তৃক সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এই বৈঠকে ভারতের এসব কর্মকাণ্ড বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে।

ভারতের অবস্থান: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ

ভারতের পক্ষ থেকেও পাকিস্তানের উপর সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা এবং সীমান্তপারে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করার অভিযোগ আনা হতে পারে। পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা এবং আটারি স্থল-পরিবহন কেন্দ্র বন্ধ করা অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি, ভারত পাকিস্তানের কাছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ

ভারতের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তান তার বিমান সংস্থাগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং তৃতীয় দেশের মাধ্যমে ভারতের সাথে বাণিজ্য স্থগিত করে দিয়েছে। পাকিস্তান এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, যদি ভারত সিন্ধু জল চুক্তির অধীনে জলের প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে, তাহলে তারা তা ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে বিবেচনা করবে।

UNSC বৈঠকের উদ্দেশ্য

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সমন্বয় ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই উত্তেজনাকে কমাতে চেষ্টা করা হবে। তবে, এই বৈঠক থেকে কোনো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা কম, তবে এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উভয় দেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হবে। এই বৈঠক এই সংকটের সমাধানের জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধানের দিকে একটি পদক্ষেপ হতে পারে।

Leave a comment