ফাঁস হওয়া নথি: ইরান আক্রমণের পরিকল্পনায় ইসরায়েল

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দুটি ফাঁস হওয়া নথিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের উপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তবে, কবে এই আক্রমণ হবে তা স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, যার ফলে উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

ইসরায়েল বনাম ইরান: গাজা, দক্ষিণ লেবাননের পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের উপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দুটি ফাঁস হওয়া নথিতে এ কথা উঠে এসেছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের উপর সম্ভাব্য আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়েছে যে, আমেরিকার উপগ্রহ দ্বারা তোলা কিছু ছবি ইঙ্গিত করে যে ইসরায়েল কোনো বড় সামরিক অভিযানের জন্য তার সেনাবাহিনীকে সক্রিয় করে রেখেছে।

১৫ ও ১৬ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ইরান সমর্থক কিছু অ্যাকাউন্ট দ্বারা কিছু নথি শেয়ার করা হয়েছিল। ওই নথি অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কোনো বড় অভিযানের জন্য সামরিক অনুশীলনে ব্যস্ত রয়েছে। ন্যাশনাল জিওস্পেসিয়াল-ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (NGA) থেকে প্রাপ্ত এই নথিগুলিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে যে ইরানের উপর আক্রমণের প্রস্তুতির জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিজেদেরকে শক্তিশালী করছে।

ইরান এর ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, যার ফলে উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ইরান, হিজবুল্লাহ এবং হামাসের সাথে ইরান দাঁড়িয়ে আছে এবং এই সংগঠনগুলো ইরান থেকে ক্রমাগত আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পাচ্ছে। এদিকে, নেতানিয়াহু সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন যে ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকবে অথবা ইরানের। এই দুটি নথি আমেরিকার উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। আমেরিকান সরকার এই নথিগুলো কীভাবে ফাঁস হয়েছিল এবং এই ফাঁসে কোন কর্মকর্তারা জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

ইরান ইসরায়েলের উপর দাগিয়েছিল প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র

১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলের দিকে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মারে। এই হামলা মোসাদ সদর দপ্তর, নেভাতিম বিমান ঘাঁটি এবং তেল নোফ বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিল।

ইরান ইসরায়েলের উপর হামলা কেন?

ইরান বলেছে, এই হামলা হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর প্রতিশোধ। ইরান দাবি করেছে যে, তারা যেকোনো সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের মোকাবেলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে যে ইরান প্রায় ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মারে, কিন্তু সবগুলোই ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও বলেছে যে যেকোনো আক্রমণের জন্য কঠোর জবাব দেওয়া হবে।