ভারতের সাথে যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যে পাকিস্তানে ইমরান খানের মুক্তির দাবি তীব্রতর হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ সেনাপ্রধানের পদত্যাগের দাবি তুলছে।
পাকিস্তান: ভারতে পালগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাকিস্তানে উদ্বেগের পরিবেশ বিরাজ করছে। সেখানকার সরকার ও সেনাবাহিনী ভাবছে ভারত এই হামলার প্রতিশোধ কীভাবে নেবে। এদিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অস্থিরতাও তীব্র হয়ে উঠেছে।
পূর্ব প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবি আবারও জোরালো হয়ে উঠেছে। তার দল, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) এবং তার সমর্থকরা সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের পদত্যাগের দাবির সাথে এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংসদ উভয় স্তরেই তুলতে শুরু করেছে।
ইমরান খানের সমর্থকরা শুরু করেছেন মুক্তির আন্দোলন
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমরান খানের মুক্তির বিষয়ে বেশ কিছু ট্রেন্ড দেখা গেছে। #ReleaseKhanForPakistan হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত তিন লক্ষের বেশি পোস্ট করা হয়েছে, অন্যদিকে #FreeImranKhan হ্যাশট্যাগে ৩৫,০০০ এর বেশি টুইট করা হয়েছে।
এই ট্রেন্ডগুলিতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে যাতে তিনি জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এই আন্দোলনে দাবি করা হয়েছে যে পালগাম হামলার ষড়যন্ত্র পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের সমর্থনে রচিত হয়েছিল।
সেনাবাহিনীর প্রতি ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ
পাকিস্তানে এটি প্রথমবার নয় যখন সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু এবার অসন্তোষের মাত্রা বেশ গভীর। অনেক নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতা সরাসরি জেনারেল আসিম মুনিরের নীতিগুলিকে দায়ী করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় #ResignAsimMunir, #PakistanUnderMilitaryFascism, #UndeclaredMartialLaw এই ধরনের হ্যাশট্যাগ ভাইরাল হচ্ছে। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে।
সিনেটেও মুক্তির দাবি উঠেছে
গত সপ্তাহে পাকিস্তানি সিনেটে PTI-এর সদস্য শিবলি ফরাজও ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান জাতীয় সংকটে ইমরান খানের অংশগ্রহণ জরুরি এবং সরকারকে এ ব্যাপারে বিবেচনা করা উচিত। এই বক্তব্যের পর থেকে সংসদেও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।