যোগী আদিত্যনাথ: উত্তরপ্রদেশে সকল ধর্মের সুরক্ষা নিশ্চিত, ২০০৭ পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ

যোগী আদিত্যনাথ: উত্তরপ্রদেশে সকল ধর্মের সুরক্ষা নিশ্চিত, ২০০৭ পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ
সর্বশেষ আপডেট: 26-03-2025

মুখ্যমন্ত্রী যোগী উত্তরপ্রদেশে সকল ধর্মের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছেন, ২০০৭-র পর থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছেন এবং সনাতন ধর্মের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।

UP News: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্প্রতি ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যে সকল ধর্মের সুরক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, হিন্দু যদি নিরাপদ থাকেন, তাহলে মুসলমানরাও নিরাপদ থাকবেন। তিনি এও দাবি করেছেন যে, উত্তরপ্রদেশে ২০০৭-র পর থেকে কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটেনি, যা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিকে প্রমাণ করে।

হিন্দু ও মুসলিমের নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্য

মুখ্যমন্ত্রী যোগী তার বক্তব্যে বলেছেন, "শত হিন্দু পরিবারের মাঝে এক মুসলিম পরিবার নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ বোধ করবে, কিন্তু প্রশ্ন হলো, শত মুসলিম পরিবারের মাঝে ৫০ জন হিন্দু কি নিরাপদ বোধ করতে পারবেন?" এর জন্য তিনি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের উদাহরণ দিয়েছেন এবং বলেছেন ইতিহাসে দেখা গেছে যে, এই দেশগুলিতে হিন্দুরা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশে মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ – যোগী

যোগী আদিত্যনাথ পুনরায় জোর দিয়েছেন যে, বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেছেন, "২০০৭-র আগে যদি উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা হতো এবং হিন্দুদের দোকানপাট পোড়াতো, তাহলে মুসলমানদের দোকানপাটও পোড়াতো। কিন্তু ২০০৭-র পর থেকে আমরা এই ঘটনাগুলি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছি।"

সনাতন ধর্ম সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মতামত

যোগী আদিত্যনাথ সনাতন ধর্মকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম বলে উল্লেখ করে বলেছেন যে, হিন্দুরা কখনও অন্যদের উপর আধিপত্য স্থাপনের জন্য শক্তির ব্যবহার করেননি। তিনি বলেছেন, "হিন্দু ধর্মের দর্শন সবসময় 'বসুধৈব কুটুম্বকম' অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বকে পরিবার হিসেবে মনে করার ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।"

রামনবমী ও ঈদে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পর্যালোচনা

মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে উৎসবের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কেও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন যে, উত্তরপ্রদেশ সরকার উৎসবের শান্তি বজায় রাখার জন্য একটি SOP (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) প্রস্তুত করেছে, যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।

হোলি ও মসজিদে রঙ ছোঁড়া নিয়ে স্পষ্টীকরণ

যোগী আদিত্যনাথ গত বছর হোলির সময় মসজিদ ঢাকার জন্য ব্যবহৃত ক্যানভাস সম্পর্কেও বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, প্রশাসন কঠোর নির্দেশ দিয়েছিল যে কোনও ধর্মীয় স্থানে জোর করে রঙ ছোঁড়া যাবে না, তবে যদি ভুলবশত রঙ পড়ে যায় তাহলে তা অবিলম্বে পরিষ্কার করতে হবে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, "মুহাররমের সময় বেরিয়ে আসা মিছিলের পতাকার ছায়া কি কোনও মন্দির বা হিন্দুদের বাড়ির উপর পড়লে তা অশুচি হয়ে যায়?"

বাংলায় হিংসার প্রতিক্রিয়া

যোগী আদিত্যনাথ পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর সময় সংঘটিত হিংসার প্রতিও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, "যদি উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়, তাহলে বাংলায় কেন তা সম্ভব নয়?"

Leave a comment