মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আদেশ দিয়েছেন যে, উত্তরপ্রদেশের সরকারি ভবনগুলিতে গোবর দিয়ে তৈরি প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করা হবে এবং যাদের কাছে পশুপালন নেই তাদেরকে এই প্রকল্পের অধীনে গরু দেওয়া হবে।
উত্তরপ্রদেশ সংবাদ: উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে সকল সরকারি দপ্তরের ভবন গরুর গোবর দিয়ে তৈরি প্রাকৃতিক রঙ দিয়ে রঙ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পশুপালন ও দুগ্ধ উন্নয়ন বিভাগের পর্যালোচনা বৈঠকে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, সরকারি ভবনে গোবর ভিত্তিক রঙ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হবে। পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে এ ধরণের রঙ কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আত্মনির্ভর হবে গো-আশ্রয় কেন্দ্র
মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেছেন যে, রাজ্যের অযত্নিত গোবর্ষণ কেন্দ্রগুলিকে আত্মনির্ভর করার প্রয়োজন রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে জমা হওয়া গোবর জৈব সার, প্রাকৃতিক রঙ এবং অন্যান্য গো-ভিত্তিক পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। এতে কেবলমাত্র কেন্দ্রের আয় বৃদ্ধিই হবে না, পরিবেশবান্ধব পণ্যও পাওয়া যাবে।
প্রাকৃতিক রঙের সুবিধা
কর্মকর্তাদের মতে, গোবর দিয়ে তৈরি রঙ সম্পূর্ণ জৈব এবং রাসায়নিক মুক্ত। এটি পরিবেশের ক্ষতি করে না, দেয়ালে ঐতিহ্যবাহী চেহারা দেয় এবং ঐতিহ্যগত রঙের তুলনায় নির্মাণ ব্যয়ও কম হয়। এতে শক্তির সাশ্রয় হয় এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্যও নিরাপদ।
গরিব পরিবার পেবে পশুপালন
মুখ্যমন্ত্রী আরও আদেশ দিয়েছেন যে, যাদের কাছে পশুপালন নেই, তাদেরকে মুখ্যমন্ত্রী নিরাশ্রিত গোবর্ষণ সহযোগিতা প্রকল্পের অধীনে গরু দেওয়া হবে। এতে তাদের পুষ্টিমান উন্নত হবে এবং আয়ের একটি স্থায়ী উৎসও পাওয়া যাবে।
মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ
মুখ্যমন্ত্রী যোগী মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন যে, গোবর থেকে সার, রঙ এবং অন্যান্য পণ্য তৈরি করে গ্রামীণ মহিলাদের আত্মনির্ভর করা হবে। বারেলি জেলায় ইফকো আওয়ানলার সহযোগিতায় এই দিকে কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে, যা মহিলা সবলীকরণকে আরও উন্নত করবে।
দুগ্ধ উৎপাদনে বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন
২০২৪-২৫ সালে উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন ৩.৯৭ লক্ষ লিটার দুগ্ধ উৎপাদন হয়েছে, যা ১০% বেশি। এই ক্ষেত্রে ১১২০ কোটি টাকারও বেশি টার্নওভার হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ৪৯২২ টি নতুন দুগ্ধ সমিতি গঠন এবং ২১৯২২ টি সমিতিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। পাশাপাশি, দেশীয় জাতের গরুর প্রতিযোগিতা করে উত্তম গো-আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে পুরষ্কৃত করা হবে।