উত্তর ভারতের বহু রাজ্যে, দিল্লি-এনসিআর সহ, তীব্র ভূমিকম্পের আঘাতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মায়ানমার, যেখানে এর তীব্রতা ৭.২ মাপা হয়েছে।
দিল্লি এনসিআর ভূমিকম্প: শুক্রবার দুপুরে দিল্লি-এনসিআর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভূমিকম্পের আঘাত অনুভূত হয়। আঘাতগুলি পর্যায়ক্রমে আসতে থাকে, যার ফলে জনমনে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মায়ানমার, যেখানে রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ৭.২ মাপা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্যেও ভূমিকম্পের আঘাত অনুভূত হয়। উঁচু ভবনে বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ভয়ে ছিলেন এবং তারা দ্রুত খোলা জায়গায় ছুটে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। তবে, ভারতে ভূমিকম্পের প্রভাব মায়ানমার এবং বাংলাদেশের তুলনায় ততটা ভয়াবহ ছিল না।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতেও আঘাতের প্রভাব
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসাম এবং সিকিমেও ভূমিকম্পের আঘাত অনুভূত হয়। সেখানে আঘাতগুলি বেশ তীব্র ছিল, যার ফলে মানুষ তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। প্রশাসন পরিস্থিতি নজরদারি করছে এবং উদ্ধারকারী সংস্থাগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত মাসেও এসেছিল ভূমিকম্প
ফেব্রুয়ারী মাসেও দিল্লি-এনসিআর এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই সময় রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ৪ মাপা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের আগ্রা, মথুরা, মেহরৌলি, সাহারানপুর, মুরাদাবাদ, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে আঘাত অনুভূত হয়েছিল। গাজিয়াবাদের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, আঘাতটি এত তীব্র ছিল যে পুরো বাড়ি কেঁপে উঠেছিল এবং ট্রেনের কামরা যেমন কম্পন অনুভূত হয়েছিল। জাতীয় ভূমিকম্পবিজ্ঞান কেন্দ্র (এনসিএস)-এর মতে, সেই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নয়াদিল্লি এবং এর গভীরতা প্রায় ৫ কিলোমিটার ছিল।
কেন আসে ভূমিকম্প?
পৃথিবীর পৃষ্ঠ কয়েকটি টেকটোনিক প্লেট দিয়ে তৈরি, যা ক্রমাগত গতিশীল। যখন এই প্লেটগুলি একে অপরের সাথে ধাক্কা খায় বা তাদের প্রান্তগুলি বাঁকায়, তখন অত্যধিক চাপের ফলে প্লেটগুলি ভেঙে পড়তে শুরু করে। এই সময়ে শক্তি বের হওয়ার পথ খুঁজে পায়, যার ফলে পৃষ্ঠের কম্পন তৈরি হয় এবং ভূমিকম্প হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের তীব্রতা এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য শক্তিশালী অবকাঠামো এবং সচেতনতা অত্যন্ত প্রয়োজন।